বগুড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সার থাকার পরেও কারসাজির কারণে তিনজন সার ডিলারের বিরুদ্ধে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সারের বরাদ্দ স্থগিতসহ ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশমালাটি বিসিআইসি বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা বীজ ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।
সভায় জেলায় পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকার পরেও সার নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা, কৃষকদের হয়রানি, কারসাজি, বেশিদামে বিক্রির অভিযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তিনজন সার ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের কারণে যাদের ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন-বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিসিআইস সার ডিলার মেসার্স এশিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রো. মো. শামীম সরকার, বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকার মেসার্স ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সের প্রো. মো. রেজাউল করিম এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মেসার্স এনপি এন্টারপ্রাইজের প্রো. মো. নাজমুল পারভেজ কনক।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে সেগুলো হলো-কৃষকদের মাঝে সঠিকভাবে সার সরবরাহ না করা, অবৈধভাবে সার মজুদ রাখা এবং অতি মুনাফার আশায় অবৈধ পন্থায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কালোবাজারীকারীদের কাছ থেকে সার সংগ্রহ করে গুদামে অবৈধভাবে মজুদ রাখার অভিযোগ। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক মো. দুলাল হোসেন এসব বিষয় উপস্থাপন করেন।
জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, বগুড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সার মজুদ থাকার পরেও উক্ত তিন ডিলার কারসাজি করে সার সংকট সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করেছিল। সার নিয়ে বেশিদামে বিক্রিসহ নানা অনিয়ম থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে পত্রও প্রেরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক মো. দুলাল হোসেন জানান, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলের জন্য বিসিআইসি চেয়ারম্যান বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই