গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকায় এক কিশোরীকে (১৮) দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গাজীপুরের শ্রীপুর থানার কেওয়া চন্নাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. জাহিদুল ইসলাম (২৭) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকার মো: সাইফুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-১ (স্পেশালাইজড কোম্পানী) গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এ এস এম মাইদুল ইসলাম জানান, গাজীপুরের সালনায় গত ২১ অক্টোবর এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলাম জেলার শ্রীপুর থানার কেওয়া চন্নাপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করে আছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি টিম শুক্রবার বিকেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে (জাহিদুল ইসলাম) গ্রেফতার করে। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত জাহিদুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতেই তাকে জিএমপির সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি মো: জিয়াউল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জিএমপির সদর থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন। শুক্রবার রাতে মামলার প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলামকে থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে ওই কিশোরী তার এক বান্ধবীর বাসায় বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। বান্ধবীর সাথে সাক্ষাত শেষে বাসায় ফেরার পথে এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়। তারা সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার জনৈক রফিকের বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছলে ৪ যুবক ভয় দেখিয়ে কিশোরী ও তার বন্ধুকে অপহরণ করে। তারা কিশোরীর বন্ধুকে আটকে রেখে দক্ষিণ সালনার বাথানের টেক এলাকার একটি পরিত্যাক্ত টিনশেড বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে কিশোরীকে দুই যুবক ধর্ষণ করে। পরে বাইরে প্রহরারত অপর দুই যুবক কিশোরীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ওই কক্ষে প্রবেশ করলে কিশোরী কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে স্থানীয় এক বাসায় আশ্রয় নেয়। এসময় যুবকরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী মো. মনির হোসেন (২৬) ও মো: হৃদয় (২২) নামে দু’জনকে পুলিশের সহায়তায় আটক করে।
বিডি প্রতিদিন/এএম