ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাইদ বিশ্বাস নিহতের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পার হলে এখানো মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার পরপরই গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
শৈলকুপা থানা ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখানো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। সে কারণে আমরা কাউকে আটক করতে পারেনি। পরিবেশ যাতে শান্ত থাকে সেইজন্য গ্রামে পুলিশি টহল জোরদার করেছি। তবে আমরা অপেক্ষা করছি পরিবারের পক্ষ থেকে যদি মামলা না দেয় তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।
উল্লেখ্য শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মান্নান মন্ডল ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কফিল উদ্দিনের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে মান্নানের সমর্থক তরিকুল মন্ডল স্থানীয় বিএলকে বাজারে গেলে কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা তাকে মারধর করে। এরই জের ধরে লক্ষণদিয়া গ্রামে উভয় ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে সাইদ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি নিহত ও উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল