ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভুল্লী এলাকায় ভুল্লী বাঁধে সেচ প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলক কালো ধান (ব্লাক রাইস) চাষে চমক সৃষ্টি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-সম্প্রসারণ দপ্তর।
এ নিয়ে বুধবার ভুল্লী বাঁধ এলাকায় খলিসাকুড়িতে উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তার দপ্তর, বাপাউবো, ঠাকুরগাঁওয়ের আয়োজনে আমন ধানের শর্স্য কর্তন, সরিষা ও বোরো ধানের বীজ বিতরণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সম্প্রসারণের দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ব্লাক রাইস এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধানের একটি বিশেষ জাত। সাধারণভাবে প্রচলিত চালের তুলনায় ব্লাক রাইসে অধিক পরিমাণে আঁশ, আয়রন, প্রোটিনসহ অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। Anthocyanin নামক কালো রঙের একটি রঞ্জক পদার্থের আধিক্যের দরুন এই জাতের চালকে কালো দেখায়। প্রথমবারের মত ভুল্লী সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০ শতাংশ জমিতে আবাদ করা হয়েছে এতে ভালো ফলন হয়েছে। এ ফলনে হেক্টর প্রতি ৫.২ টন ফলন হচ্ছে। আর এ ব্লাক রাইস চাষে ভুল্লী বাঁধের মাধ্যমে ফ্রি সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় ভুল্লী বাঁধের সভাপতি সরকার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও পওর সার্কেল, বাপাউবো এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান, বাপাউবো ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী প্রমুখ।
বাপাউবো ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী বলেন, প্রথমবারের মত আমরা ব্লাক রাইস প্রদর্শনী আবাদ করেছি। বাঁধ এর আওতায় থাকা কৃষকদের এই ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এবার ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকদের বাঁধের মাধ্যমে ফ্রি সেঁচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে কালো ধানের আবাদ বাড়ানো হবে।
ঠাকুরগাঁও পওর সার্কেল, বাপাউবো এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, বাপাউবো এর উপ-সম্প্রসারণ দপ্তরের আওতায় পরীক্ষামূলক ব্লাক রাইস আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এর চাষাবাদ আগামীতে আরো বাড়ানো হবে। সেই সাথে কৃষকদের ফ্রি সেঁচের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় করা হবে।
কালো ধান কর্তন শেষে অনুষ্ঠানে ভুল্লী বাঁধের আওতায় থাকা কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সরিষার বীজ বিতরণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত