২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৪৭

কুষ্টিয়ায় যুবককে গলা কেটে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় যুবককে গলা কেটে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিটন বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবককে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার দায়ে এক চরমপন্থী নেতাসহ তিন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার ২১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাক মাষ্টারের ছেলে এবং জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান চরমপন্থীনেতা  আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।

রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে লিটন বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে লিটনের দেহবিহীন মস্তক উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিটনকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত  প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর