দিনাজপুরে চলছে আমন ধান ঘরে তোলার মহোৎসব। এরই মধ্যে ইরি-বোরো ধান আবাদের জন্য আগাম বীজতলা তৈরি ও বীজ বপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শৈত্যপ্রবাহের কবল থেকে রক্ষার জন্য কৃষকরা আগে থেকে শুরু করেছেন আগাম বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও বপণের কাজ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে উচ্চফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল উফশি, হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ক্রয় করে চারাগুলো পরিচর্যার কাজ করছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের হরানন্দপুর গ্রামের কৃষক মো. আলাল হোসেন, গোবিন্দপুর গ্রামের বাবলু, পুনট্টির দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেশী শীত পড়ার আগে বীজ বপণ করলে অধিক বীজের চারা গজায়। চারাগুলো আপদহীনভাবে বেড়ে ওঠে। এতে বীজের অপচয় হয় না। অল্পবীজে অধিক জমিতে চারা রোপণ করা যায়।
চিরিরবন্দরের সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কৃষক গহিরউদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে বেড়েছে সার, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম। পাশাপাশি দাম বেড়েছে কৃষি শ্রমিক, হলচাষ মজুরি। এতে গত বছরের তুলনায় ধান রোপণ, পরিচর্যা, সেচমূল্য, ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত বাড়তি টাকা গুণতে হবে কৃষকদের।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৯৬০হেক্টর জমিতে বীজতলা ও ১৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার উচ্চফলনশীল উফসি ও হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুপাতে কৃষকরা ৯৬০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি ও বীজ বপন শুরু করেছে। বীজতলার পরিধি বৃদ্ধি পেতে পারে। আর্দশ বীজতলা তৈরিতে কৃষকদের পরামর্শ ও উদ্ধুদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ