কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুদিন ধরে আবারো তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, জেলার তাপমাত্রা ১৩ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা গত দিনের চেয়ে আরো কমেছে। তবে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় ভোরবেলা থেকে কুয়াশা পড়তে থাকায় সকালে কাজে যেতে না পেরে নিন্ম আয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে রিক্সা ও অটোরিক্সা চালকরা যাত্রী সংকটে রয়েছেন বলে জানা গেছে। সদর উপজেলার পৌর এলাকার ভেলাকোপা গ্রামের রিক্সাচালক মনির উদ্দিন জানান,ভোরবেলা থেকে রিক্সা চালাই। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত কুয়াশা ও ঠান্ডার কারনে রিক্সা বের করতে পারিনা।ঠান্ডায় হাত পা টাটায় এবং প্যাসেঞ্জারও ঠিকমত পাচ্ছিনা।ফলে আয় রোজগার কমে গেছে।শাপলা চত্বরে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক জলিল মিয়া মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় জানায়,ঠান্ডার কারনে দেরিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছি।কাজে যেতে পারছিনা।দেরিতে এলে কেই কাজে নেয়না।এতে কামাই রোজগার কমেছে।অন্যদিকে,সদ্য বপন করা বোরো বীজতলাগুলো কুয়াশায় সামান্য ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে কৃষকরা জানান।
এছাড়াও গত কয়েকদিনের শীতের ঠান্ডায় জেনারেল হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা:শাহিনুর রহমান সরদার শিপন জানান, আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। অধিকাংশ রোগী শীতজনিত রোগে ভর্তি হচ্ছে এবং আমরা বেশি রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছিনা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যেই শীতার্তদের জন্য ৩৮ হাজার কম্বল হাতে পেয়েছি যা উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম