কুড়িগ্রাম শহরের নাজিরা মুন্সিপাড়ায় বহুতল ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় সেলিম মিয়া (৪২) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম মিয়া ব্যাপারী পাড়ার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আব্দুল আহাদ কুড়িগ্রাম শহরের নাজিরা মুন্সিপাড়ায় ক্রয়কৃত ৭ শতক জমিতে বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট নির্মাণ করছিলেন। কিন্তু তার প্রতিবেশী মৃত আজিমুদ্দিনের ৪ ছেলের সাথে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধ চলছিল।
কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে কাজ শুরু করা হলে মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলেরা তার কাজে বাধা প্রদান করে। এসময় বাড়ির কেয়ারটেকার সেলিম মিয়া কথা বলতে গেলে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে সেলিমের উপর তারা আক্রমণ করলে ঘটনাস্থলেই সেলিম মাটিতে লুটে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিলে পথিমধ্যে সে মারা যায়।
এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে লিয়াকত, কুদরতের স্ত্রী নাজমা বেগম ও কয়ছারের স্ত্রী মল্লিকা বলে জানা যায়।
এদিকে, সেলিমের স্ত্রী জেসমিন বেগম তার স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই