শরীয়তপুরে আগ্রহ বাড়ছে মৌ চাষে। কালোজিরা সরিষা ও ধনিয়া ফুলের মধুর চাহিদা বেশি থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে শরীয়তপুর এসেছে মৌয়ালরা। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় এ পেশায় ঝুঁকছে তরুণরা এমনটাই জানালেন জাহিদ আকন। জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, চাষির সংখ্যা বাড়ায় অর্জন হবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
শরীয়তপুরে এবছর ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা কালো জিরা ও ধনিয়ার আবাদ হয়েছে। মৌমাছিরা সরিষা, তিল, কালোজিরা, ধনিয়া, মেতিসহ মশলা ও রবি শষ্যের ফুল থেকে মধু আহরণ করে। উচ্চ মূল্যের এই ফসল থেকে ৩৭ হাজার কেজি মধু আহরণের লক্ষ্যমাএা ধরা হয়েছে। কালো জিরা, ধনিয়া ও সরিষার ফুলের মধুর চাহিদা বেশি থাকায় মাগুরা, সাতক্ষিরা, যশোর ,পাবনা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, নরসিংদীসহ, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মৌয়ালরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লাভবান হবে মৌ চাষিরা। তিন মাসে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার মধু বিক্রির আশা করছে মৌয়ালরা।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার প্রবাসফেরত জাহিদ আকন বলেন, বিদেশে মৌ চাষ দেখে আগ্রহী হন মৌ চাষে, গড়ে তুলেন ইভা মৌ খামার, সফলতা ও পান তিনি, তার খামারে কাজ শিখে অনেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন খামার চাষে। মৌ চাষিরা জানান, মৌমাছিকে বছরে চার মাস চিনি খাওয়াতে হয়। বাকি দুই মাস ফুল থেকে তাদের খাবার নিজেরাই যোগাড় করে। বছরে ছয় মাস মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করতে যায়। বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে তারা। লিচু বরই, মিষ্টি কুমড়া ফুল থেকে ও মধু সংগ্রহ করে তারা।
শরীয়তপুর খামার বাড়ি উপপরিচালক রবীআহ নুর আহমেদ বলেন, এই মৌসুমে ৩৭ হাজার কেজি মধুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, এ পর্যন্ত ১৭ হাজার কেজি মধু আহরণ হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে লক্ষমাত্রা অর্জন হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ