ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার ৩নং তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ৩৮ বস্তা (১৯০০ কেজি) সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ইউপি কার্যালয়ের গোডাউন থেকে এই চাল জব্দ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি সেখানে যান। পরে পরিষদের গোডাউনে ৩৮ বস্তা চাল দেখতে পান। সেগুলো ওই ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদের আগে ওই ইউনিয়নের ৩ হাজার ৬১২ জন হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৩৬ হাজার ১২০ কেজি ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুস্থদের তালিকা করে তাদের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ সবাইকে ঈদের আগে চাল না দিয়ে ইউপি কার্যালয়ে ওই চাল রেখে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ঈদের আগে সব চাল দুস্থদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ৩৮ বস্তা চাল বিতরণ না করে সেগুলো নিজ কার্যালয়ে রেখে দেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়। চালগুলো আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই চেয়ারম্যান রেখেছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ জানান, ঈদের আগে দুস্থদের তালিকা করা হয়েছিল। তাদের অনেকে চাল নেয়নি। সেই চাল পরিষদের গোডাউনে রয়েছে। এর তালিকা এবং মাস্টাররোলও রয়েছে। এখন তালিকা অনুযায়ী সেই মানুষদের অনেকে চাল নিতে আসছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এই চাল রাখা হয়নি।
ইউএনও সুস্মিতা সাহা জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে মোবাইলে অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে পিআইওকে পাঠিয়েছিলাম। ওই ইউনিয়নের গোডাউনে ৩৮ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম