টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাদক ও পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে দুইটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত চার যুবককে অর্থদণ্ডসহ ৬ মাসের কারাদাণ্ড দিয়েছেন। এ সময় তাদের কাজে ব্যবহৃত ৬টি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার ও ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন এবং সহকারী কমিশনার( ভূমি) জাকির হোসাইন পৃথক দৃটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডিতরা হলো— মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই গ্রামের শাহজাহান আলির ছেলে সালমান খান (২২), মধুপুর সদরের ঝন্টু পালের ছেলে অন্তর পাল (২১), মেহেদি হাসান ফাহিম (২৩) ও ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যার রফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর রহমান (২১)।
জানা যায়, মধুপুর পৌর এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে নয়াপাড়া মসজিদের পাশে জনৈক সাইফুলের বাসা ভাড়া নিয়ে নেটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসার নামে অবৈধ ব্যবসা চালাতেন তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, সহকারী কমিশন ভূমি জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক ও তাদের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল জব্দ করা হয়। এ সময় মাদকও উদ্ধার করা হয়।
নেট অফিসের জন্য ভাড়া নেওয়া বাসাটি প্রশাসন সিলগালা করে দেয়। খবর পেয়ে বাসার মালিক সাইফুল ইসলাম আসলে তার উপস্থিতিতে সিলগালা করা হয়। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইউএনও শামীমা ইয়াসমীন প্রথম দুইজন (সালমান ও অন্তর) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন পরের দুইজনকে (মেহেদি ও আশিকুর) মাদক ও পর্নোগ্রাফির দায়ে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল