বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মহরম আলী খানের (৪২) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে শেরপুরের সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বাঙালি নদীর বগুড়া বাজার সেতু এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাঙালি নদীর ওপর নির্মিত বগুড়া বাজার সেতুর নিচে নদীর পানিতে একটি লাশ ভাসতে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি লাশটি মহরম আলী খানের বলে নাম-পরিচয় সনাক্ত হয়। মহরম আলী সীমাবাড়ী ইউনিয়নের টাকাধুকুরিয়া গ্রামের তায়েজ আলী খানের ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের ছোট ভাই। তিনি সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া মহরম আলী ছাত্রজীবনে চান্দাইকোনা ডিগ্রী কলেজ সংসদের জিএসসহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নিহতের বড় ভাই সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, গত ২২মে বিকালে বাড়ি থেকে বের হন মহরম আলী খান। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরইমধ্যে বুধবার সকালে নদীতে লাশ ভাসছে-এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। এক পর্যায়ে উদ্ধারের পর লাশটি ছোট ভাই মহরম আলীকে সনাক্ত করি।
ভাই আব্দুল মান্নান, বোন শিউলি আক্তারসহ পরিবারের সব সদস্যদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে মহরম আলীকে খুন করে তার লাশটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, বাঙালি নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মহরম আলীর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত