বর্তমান সরকারকে ভোট ডাকাত দাবি করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘এই সরকার ভোট ডাকাত। এই ভোট চোর এবং ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামীতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। যদি হয় তবে তা প্রতিহত করা হবে। এজন্য বিএনপি সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। আর তা হলে বিএনপির বিপুল সংখ্যক প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হবে এবং তারা সরকার গঠন করবে। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি কর্পেরেশন নির্বাচন। সেখানে একজন গৃহবধূ যিনি কখনও স্কুলেও যাননি তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীতে বিএনপি যদি কলাগাছ দাঁড়া করায় তাহলেও সেই কলাগাছও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে।’
‘যারা চোর, যারা ডাকাত, যারা মানুষের সব ধরনের অধিকার লুন্ঠিত করেছে, ওরা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝে? তাদের চেতনা হলো দেশের গণতন্ত্র লুন্ঠিত করা। সকল অধিকার লুন্ঠিত করা।’
শনিবার দুপুরে ঝালকাঠিতে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
জনসভার শুরুতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হয়। প্রায় ১৫ বছর পরে ঝালকাঠিতে খোলা মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হল।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল