নৌযান শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরের অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট পালন করছে শ্রমিকরা। রবিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে শ্রমিকরা। এতে আশুগঞ্জ নদী বন্দরে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন পন্য নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে কার্গো জাহাজ থেকে পন্য খালাস।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাষ্টার জানান, শনিবার কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ওয়াটার টান্সপোর্ট সেলের নেতৃবৃন্দ আসেন আশুগঞ্জ ও ভৈরব নৌ বন্দরে। এসময় মালিক পক্ষের লোকজন কোন কারণ ছাড়াই তীরে নোঙ্গরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ মোট ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মারধর করে। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে সকাল থেকেই আমার অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে বন্দরে সার, রড, সিমেন্টসহ নানা পন্য নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পন্য খাসাল বন্ধ রয়েছে এবং বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এতে তাদের বিপুল অংকের লোকসান গুনতে হবে।
তবে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ওয়াটার টান্সপোর্ট সেলের কো কনভেনার নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, নৌযানের পন্য পরিবহনের নিয়ম না মেনে চট্টগ্রাম থেকে সিরিয়াল না নিয়ে বিভিন্ন পন্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। বিষয়টি বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন ও ওয়াটার টান্সপোর্ট সেলের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ ও ভৈরব নদী বন্দরে জাহাজে তদারকি করা হচ্ছিল। এসময় জাহাজে থাকা শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র না দেখানো নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল