ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মাকসুদ আলী বিদুর বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই সময় মাকসুদ আলী বিদুর স্বজনদের আরও ৫টি বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইটি বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
মাকসুদ আলী বিদুর স্বজনেরা জানান, রাত তিনটার দিকে একতলা বাড়ির প্রধান দরজায় পরপর দুইটি বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয়। একই সাথে হামলাকারীরা ১ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিটি দরজা ভেদ করে ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও বাড়ীর লোকজন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
একই সময়ে একই এলাকার সৈয়দ এনাম সুলতান, সৈয়দ হাসানুজ্জামান চপল, সৈয়দ মাহফুউজ্জামান, খন্দকার জীবানুর রহমান নাদিম ও সৈয়দ মোশাররফ আলী আশফাকের বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। তবে কি কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা কেউ জানাতে পারেনি।
মাকসুদ আলীর পরিবারের দাবী, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার একটি পক্ষের সাথে মাকসুদ আলী বিদুর দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া গেরদা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাকসুদ আলী নৌকার মনোনয়ন চান। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। সে নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অল্প ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলী।
নির্বাচনের সময় থেকেই একটি মহল তার উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়। এ হামলা সেই কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারনা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে মাকসুদ আলী বিদু ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
একই সময় ৬ বাড়ীতে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে আতংকাবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষ্ফোরিত দুটি বোমা ও একটি গুলির খোসা আলামত হিসাবে জব্দ করে।
গেরদা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা শাহ মো. এমার হক জানান, যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল গাফফার জানান, ঘটনার পর পুলিশ কিছু আলামত জব্দ করেছে। তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ