রংপুর সিভিল সার্জন অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনা অফিসের নষ্ট হওয়া যানবাহন রাখা হয়েছে সিভিল সার্জন অফিসের ওয়ার্কশপে। বছরের পর বছর ধরে নষ্ট যানবাহনগুলো খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকলে গত ২০ বছরে কোন মেরামত অথবা পরিত্যক্ত যানবাহন নিলামের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে ওই সব যানবাহনের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। তবে সিভিল সার্জন বলেছেন বিআরটিএ এর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিদেশি সংস্থার দেয়া ওই সব যানবাহন এক সময় পথে দাপিয়ে চলত। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে এক সময় ওইসব যানবাহনের স্থান হয় পরিত্যক্ত স্থানে। কোন কোন যানবাহন ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় ২২টির মত যানবাহন এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এসব দেখার কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় বেশির ভাগ যানের ইঞ্জিনসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি হাওয়া হয়ে গেছে। এখন শুধু গাড়ির খাঁচা পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্টদের অভিমত এখনও কয়েকটি গাড়ি মেরামত করে চলাচলের উপযুক্ত করা যাবে। যেগুলো মেরামতের উপযুক্ত নয় সেগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার নিয়ম থাকলে নিলামের কোন প্রক্রিয়া করা হয়নি। নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারের খাতে কিছু অর্থ জমা হত। তাদের মতে গাড়িগুলো ২০ থেকে ২৫ বছর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। মাঝে মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, বিআরটিএ অফিসের লোকজন এসে গাড়িগুলো পরির্দশন করে চলে যান। কিন্তু গাড়ি মেরামত কিংবা নিলাম কোনটাই হয়না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকটি গাড়ি রয়েছে যেগুলো নিলামেও তোলা যাবে না। ভাংরি হিসেবে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে পরিত্যক্ত ওই গাড়িগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকসেবীদের নিরাপদ আস্তানা।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ গাড়িগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে। তাদের সাথে আলোচনা করে যেগুলো মেরামত করা যাবে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। বাকিগুলো নিলামের বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ