বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিচয়ে প্রতারণা করে দুই হোটেল মালিকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। সোমবার ভোরে গ্রেফতারকৃত দুইজন হলো- গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ীর পশ্চিম পাড়ার মো. তুহিন মিয়া (৩৫) ও একজন শিশু (১৬)। তুহিনের বিরুদ্ধে অতীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা আছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশ ইনচার্জ (পরিদর্শক) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, গত ৭ জুন সকালে বগুড়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের কাছে মোবাইল ফোনে গ্রেফতারকৃত তুহিন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। ফোনে সে বলে বগুড়া শহরের নামাজগড়ে একটি সমস্যা হয়েছে। জরুরি ডিউটি পুলিশ লাগবে। ইউএনও পরিচয় পাওয়ার পর ফোন নম্বর দিয়ে বগুড়া উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই জাহাঙ্গীর আলম নামে এক পুলিশ সদস্যকে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এএসআই জাহাঙ্গীর আলম সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রতারক চক্রটি তাকেও ইউএনও পরিচয় দিয়ে ওই উপশহর এলাকার হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করে। এমন নির্দেশনায় ওই পুলিশ সদস্য হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়ে চলে যান। পরে প্রতারক চক্রটি হোটেল মালিকদের বলে উপশহর এলাকায় চারটি হোটেলের মধ্যে ১টি হোটেল রাখা হবে। এসময় হোটেল মালিকদের মধ্যে প্রথমে মোঃ শাহিনকে ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা পরে উপশহর বাজারস্থ রবিউল ইসলাম এর খাবারের হোটেলের মালিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত হোটেল মালিকদের সাবধান করে দিয়ে প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে। তদন্তে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে প্রতারণার বিষয়টি তারা স্বীকার করে। বগুড়ার সদরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে ১১ জুন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা সাধারণত মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
বিডি প্রতিদিন/এএম