বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশে তিনটি শিক্ষা রয়েছে, অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর সুশিক্ষা। আজকে জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে কুশিক্ষিতরা বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। এই কুশিক্ষিতরা বিচারের প্রহসন করছেন। তারা জেলখানায় বিরোধী নেতাকর্মীদের পিটিয়ে হত্যা করছেন। এই কুশিক্ষিত লোকগুলো দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা দেশকে ভালবাসে না, টাকাকে ভালবাসে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ শাসক ও পাকিস্তানিরা এদেশ থেকে যা লুট করেছে এরচেয়ে বেশি লুট করেছে এই সরকার। এদের ভিতর দেশপ্রেম নেই।
শুক্রবার বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এ কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ ও আনম সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, হাজী মো. নাজিম, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীম আল বারী জুয়েল, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন খান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
এ সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এ কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন।
এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, ভোট ও বাকস্বাধীনতা জন্য পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যখন সংগ্রাম করেছি তখন বাঙালির বিরুদ্ধে গুলি চালাতো। লাঠিচার্জ করতো। তারাতো ছিল পাকিস্তানি পুলিশ। আজ একই দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। আজও গুলি চালানো হচ্ছে। আপনারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কি বিদেশি পুলিশ? নিজ দেশের জনগণের ওপর গুলি চালাচ্ছেন!
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত দ্রব্যমূল্য, তেল গ্যাস ও বিদ্যুয়ের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সরকার কানে শুনে না। আজকে ডিমের দাম ১৫ টাকা। এদের দুর্নীতির কারণে টাকার মান কমে গেছে। যারা ব্যাংকে টাকা রেখেছেন তারা লাভের পরিবর্তে ১৪ শতাংশ টাকা কম পাবেন। আজকে বিদ্যুয়ের কার্ড থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে লুটপাট। এ সরকার বিদায় করতে না পারলে দেশের মানুষ মারা যাবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, বহির্বিশ্ব আজ দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। একটি দেশ বলছে এই সরকারকে আবার লাগবে। আমি বলতে চাই, সরকার নয়, দেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্ব করুন। আজ এ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেশের জনগণ মানে না। বিনাভোটের নির্বাচনের স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
বিকেল সাড়ে চারটায় নয়াপল্টন থেকে এ কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। এটি মতিঝিল, ইত্তেফাক, টিকাটুলী হয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত