মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে বাড়িতে ঢুকে একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাছেদ সেখ (৭০) ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগমকে (৬৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ছেলে আরাফাত (৩৫) মেয়ে মাকসুদা (২৮) ও শিল্পি বেগমকে (৫০) টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনারং গ্রামের বাছেদ সেখ তার জমিতে আজ শুক্রবার সকাল হতে টিন ও কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করছিলেন। ওই ঘর উত্তোলন করতে সকাল ৮টার দিকে বাধা দেয় একই গ্রামের আবু কালাম সেখ, মান্নান সেখ, গিয়াসউদ্দিন সেখ, সুমী আক্তার, আল-আমিন হাওলাদার, সোহেল হাওলাদার, মোঃ সেন্টু হাওলাদার, বাদশা সেখ, সাইদ সেখসহ আরো ৪-৫ জন। এ সময় তারা রামদা, চাপাতি, ছোড়া, লোহার রড নিয়া হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ওই পাঁচ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় বাছেদ সেখের টিন ও কাঠ দিয়ে নির্মিত ঘরের বেড়া টেনে খুলে ফেলে দেয় তারা। বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় আরাফাত সেখ বাদী হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতদের আত্মীয় বর্ণা আক্তার সাদিয়া বলেন, ‘আমি আমার খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সকাল বেলা আমার খালু তার জমিতে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করিতেছিল। এ সময় সোনারং গ্রামের ১৫/২০জন চাপাতি, ছোড়া, লাঠি নিয়া আমার খালুর বাড়িতে হামলা চালায়। আমার খালু ও খালা খালাতো ভাই বোনদের এমনকি আমার মাকেও কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আমার খালা খালুর অবস্থা গুরুতর । তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’ আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ আবু কালাম বলেন, বারবার চেষ্টা করেও হামলাকারীদের হাত হতে আমি ভূক্তভোগী পরিবারটিরকে রক্ষা করতে পারিনি। আমি একাধিক আঘাতের শিকার হয়েও চেষ্টা চালিয়ে যাই তারপরেও তারা বৃদ্ধ স্বামী স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৫জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ রাজিব খান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে অভিযুক্ত কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল