জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করা হবে। গত শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আমরা হিমাগারে নানা অনিয়ম দেখতে পেয়েছি।
বুধবার সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট চেয়ারম্যানের মোড় এলাকার আরমান কোল্ড স্টোরেজে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুরে আলু মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে ৬ ব্যবসায়ী ও হিমাগার কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।ভোক্তা অধিকার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উজ্জল কুমার রায়।
মহাপরিচালক বলেন, রংপুরের আরমান কোল্ড স্টোরেজে ২ লাখ ১০ হাজারের মত বস্তা আলু রয়েছে। হিমাগারে যে পরিমাণ আলু মজুদ করা যায়, তার অর্ধেক আলু এখনও রয়েছে। হিমাগার থেকে আলু ছাড়ের যে হার দেখছি এমন চলতে থাকলে অর্ধেক আলু হিমাগারেই পঁচে যাবে। তারা বাজারকে জিম্মি করে ১৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করছে। এতে করে আলু পঁচে গেলেও তারা এ ক্ষতি স্বীকার করবে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট চক্রের ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। তারা কৃষকদের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ টাকায় আলু কিনেছে। আলু হিমাগারে নিয়ে যাওয়াসহ সমস্ত খরচ যুক্ত করলে আলু’র মূল্য ১৮ টাকা হয়। সেই আলু এক -দেড় মাস আগে ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেড় মাসের মাথায় এটি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে।
সংস্থার মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
এরপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আলু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন