দাগনভূঞা পৌর শহরে চৌমুহনী রোডে অবস্থিত দাগনভূঞা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেও তলিয়ে থাকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটির ফ্লোর ও প্রবেশের সড়ক।
এতে এখানে সেবা নিতে আসা অসুস্থ মানুষগুলো যেমন হয়রানি শিকার হচ্ছেন তেমনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ সেবা কেন্দ্রটি সমাজের গরীব অসহায় মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বলে জানা যায়। অনেকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা নিয়ে উপকৃত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিন বৃষ্টি থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পানি কমার পর পুনরায় স্বাস্থ্য সেবা চালু করা হবে বলে জানা যায়। চলতি বর্ষা মৌসুমে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বারবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। পানি কমার পর পুনরায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা হয়। শুক্রবারও স্বাথ্যকেন্দ্রটির প্রবেশ মুখে দেখা যায় পানি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এর একটি স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। স্থানীয় এসহাক মিয়া বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কটি ভবন থেকে উঁচু হওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। আগে সমস্যা ছিলো না। এখন নতুন ভবন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী এম.এম সোহেল বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি একেবারে পৌরে শহরের মধ্যে হওয়ায় এখানে রোগীর সংখ্যা বেশি হয়। সামান্য অসুখ হলে মানুষ সাধারণত এখানেই ডাক্তারি পরামর্শের জন্য আসে। নতুন করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার আলাউদ্দিন বলেন, পানিতে স্বাস্থ্যসেবা সাময়িক বন্ধ থাকলেও আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছি। জটিল রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছি।
দাগনভূঞা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি রাস্তা থেকে নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টিতে পানি উঠে যায়। তখন সাময়িক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগী প্রেরণ করার জন্য আমাদের লোক নিয়োজিত রয়েছে। একটি নতুন ভবনের জন্য উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি শিগগিরই নতুন ভবন পেয়ে যাব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল