রাঙামাটিতে সাপ চেনা, উদ্ধার ও অবমুক্তকরণ বিষয়ে দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী সর্প দংশন, প্রতিকার, চিকিৎসা ও অবমুক্তকরণ বিষয়ক জনসচেতনামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিন ছিল সাপ রেসকিউ করা। একই সাথে নিরাপদভাবে সাপ অবমুক্ত করা। এ সময় প্রায় ২৫জন প্রশিক্ষাণার্থী অংশগ্রহণ করেন। সবাই একে একে চারটি সাপ রেসকিউ করে দেখায়। সাপগুলোর মধ্যে ছিল কাল নাগিন, গোখড়া, দাঁড়াস ও বালু বোড়া।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙামাটি বনসংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্য প্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক মো. আবু সাইদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মোশারফ হোসাইন, বন কর্মচারী মো. হারুন আর রশিদ ও মো. শাহ জাহান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বন্য প্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক মো. আবু সাইদ বলেন, পার্বত্যাঞ্চল সাপের আবাসস্থল। তাই মানুষের সাথে সাপের দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। অনেকে সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। আবার অনেক সাপ মানুষের আঘাতে মারা যায়। সাপ যেমন পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি সাপকে রক্ষা করা মানুষের দায়িত্ব। সাপ হত্যা না করে কিভাবে বনে অবমুক্ত করতে হয় সে বিষয়ে সবার ধারণা থাকা উচিত। কারণ আমাদের দেশে ১১৭ প্রজাতির সাপ আছে তার মধ্যে বিষধর মাত্র ৩৪ প্রজাতির। এসব সাপ চেনা থাকলে সাপ রক্ষা করা সম্ভব। তেমনি মানুষও আর সাপের কারমড়ে মারা যাবে না।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষার্থীদের সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল