সবুজ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রত্ন পর্যটন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পঞ্চগড়ের ঐতিহাসিক দুর্গনগরী ভিতরগড়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত হয়েছে। ভিতরগড় পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে আজ সকালে ভিতরগড় সীমান্ত মোড় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘীর পাড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অমরখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান, সংগঠনটির সহসভাপতি একরামুল হক, সংগঠক বাবলুর রহমান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন ভিতরগড় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক দুর্গনগরী। এখানে রয়েছে একটি মধ্যযুগে খনন করা দিঘী। প্রতিবছর হাজারো পর্যটক এই ইতিহাস জানতে এই এলাকায় ছুটে আসেন। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রীক কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকার দৃষ্টি দিলে এখানে প্রত্ন পর্যটন গড়ে ওঠার অনেক সম্ভাবনা আছে। প্রত্নপর্যটন গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় হবে।
ভিতরগড় নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন প্রত্নতত্ববিদ ড. শাহনাজ হুসনে জাহান। মুঠোফোনে তিনি জানান, মধ্যযুগে ২৫ বর্গকলোমিটার জুড়ে এই নগরী গড়ে ওঠে। খনন কাজ সম্পাদনের সময় ইতিহাসের নানা উপাদান পাওয়া গেছে। প্রত্ন পর্যটন গড়ে ওঠার জন্য এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং ঐতিহাসিক পটভূমি বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল