বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ফলে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে স্বামী পরিত্যাক্তা এক প্রতিবন্ধী নারী (২৫)। সম্প্রতি ঘটনটি জানাজানি যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শনিবার ধুনট থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিলে ধর্ষক পরিবারের হুমকিতে আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি অসহায় ধর্ষিতার ওই পরিবার।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের ওই প্রতিবন্ধী নারীর তিন বছর আগে জোড়শিমুল এলাকায় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ছেলেটির বয়স প্রায় দেড় বছর। এমতাবস্থায় গত এক বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ওই নারীকে তার স্বামী তালাক দিয়ে দেয়। এরপর তালাকপ্রাপ্ত নারীটি তার বাবার বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের সংসারের পুত্র সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করে। এদিকে স্বামী পরিত্যাক্ত ওই মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করে আসছিল প্রতিবেশি ফরহাদ হোসেন (১৮)। এমতাবস্থায় চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল রাতে মেয়েটিকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে ফরহাদ। ধর্ষণের এই ঘটনাটি জানাজানি করা হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ফরহাদ।
এ বিষয়ে মেয়েটির চাচা আব্দুর রহমান আকন্দ বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়েটির শারীরিক গঠন পরিবর্তন দেখে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ধুনট উপজেলার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বার হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। পরে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ভয়ে ভয়ে ফরহাদ হোসেনের নাম বলে। তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এরপর স্থানীয় মাতব্বররা বিচার পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নানান তালবাহানা করছে এবং কেউ যাতে থানা পুলিশের কাছে না যায়, এজন্য হুমকিও প্রদান করছে তাদের লোকজন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কোন ভুক্তভোগীকে আইনী সহায়তা পেতে বাধাগ্রস্থ করা হলেও সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম