তীব্র শীতের সাথে হিমেল হাওয়ায় চারিদিকে নদী বেষ্টিত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে প্রত্যন্ত জনপদ। বেলা বারোটায়ও দেখা মেলেনি সূর্যের।
হাড় কাপানো শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপজেলা হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। রাস্তায় চলাচল কমে গেছে সাধারণ মানুষের। বুধবার সকাল নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯১ শতাংশ।
উপজেলা শহরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা নেছার উদ্দিন জানান, টানা পাঁচদিন চলা তীব্র শীতের সাথে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
পাতাবুনিয়া ঘাট শ্রমিক আব্দুল ছালাম খান বলেন, পেটের টানে কাজ করতে হচ্ছে। ভোগান্তির শেষ নেই। কতক্ষণ কাজ করি, যখন টিকতে না পারি তখন আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ দেই।
মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা আছিয়া বেগম বলেন, শীতে দৈনন্দিন কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, শীতের প্রকোপের কারণে বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিন হাসাপাতালে এসব উপসর্গ নিয়ে বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে আসছে অসংখ্য রোগী। হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। আগত রোগীদের নিবিড়ভাবে পরিচর্যা দেওয়া হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল