সাধারণ ডায়েরি করাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধানকে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে ওসির নিজ কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নীহারিকা সরকার বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি মো. শফিকুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিগ্রীচর গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫) ও শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের মো. ইউসুফ শেখের ছেলে আক্কাস আলী মিয়া (৪৩)। আক্কাস আলী মিয়া সদর উপজেলার রূপপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পুলিশের ভাষ্যমতে, রবিবার বিকালে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে সদর থানায় যান মো. শফিকুল ইসলাম। ডায়েরিতে নয় জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান। তদন্তের বিষয়টি ওসি উত্থাপন করলে উত্তেজিত হয়ে যায় শফিকুল ইসলাম। তখন সে পকেটে থাকা বৈদ্যুতিক শকার মেশিন দিয়ে ওসির মুখে আঘাত করে। ওসি আহত হলে থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার মুখে একটি সেলাই লাগে বলে জানায় পুলিশ। থানায় বসে এসব কর্মকান্ডের বিষয়টি স্কুল শিক্ষক আক্কাস আলীর ফোনকলে শোনান বলে দাবি পুলিশের।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আহত ওসির মুখে একটি সেলাই লেগেছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করবেন।
সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে কথা হয় খানখানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মোস্তাক শেখের সাথে। তিনি বলেন, আমি বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে শফিকুল এলাকায় কাউকে পরোয়া করে না। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল