জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড়ে পর্যটকদের সুবিধার্থে বানানো পর্যটন সেবা কেন্দ্রটি সারা বছরই থাকে তালাবদ্ধ। নানা প্রতিকূল পরিবেশে ঘুরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থাপনা নষ্ট হচ্ছে বন্ধ থেকেই। ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সাদা মাটির পাহাড় দেখতে আসা পর্যটকরা পাচ্ছেন না এর সুফল। তবে সরকারি-বেসরকারি বা প্রভাবশালী কেউ আসলেই খোলা হয় সেবা কেন্দ্রটি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্রিটিশবিরোধী টংক আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত নেত্রকোনার দুর্গাপুর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির এক জনপদ। এই জনপদের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার জুড়ে এই সাদা মাটির পাহাড়। ইতিমধ্যে দেশে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া কুল্লাগড়া ইউনিয়নটির কুল্লাগড়া, মাইঝপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রয়েছে বিশাল টিলা। এসব টিলা ও স্বচ্ছ জলরাশির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন।
কিন্তু দুর্গম এবং পাহাড়ি পথ হওয়ায় মানুষের ঘুরতে কিছুটা বেগ পোহাতে হয়। এসকল পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের প্রবেশ দ্বারেই জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বাস্তবায়নে ২০২১ সালে নির্মিত হয় পর্যটন সেবা কেন্দ্র। যাতে মানুষ বিশ্রাম নেওয়াসহ নারী পুরুষের জন্য উন্নত শৌচাগার ব্যবস্থা রয়েছে। পাহাড়ে ওঠানামার পথে করা হয়েছে ওয়াশ ব্লক।
কিন্তু পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে দেশের কতিপয় পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকার পর্যটন সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এটি ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হলেও তা শুধুই পাথরে লিখিত রয়েছে। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থাপনার দুটির কোনটিই খোলা থাকে না। ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিড়ম্বনার শিকার হন। স্থানীয়রা পর্যটকদের মানবিক বিবেচনায় সহযোগিতা করেন। পর্যটকসহ স্থানীয়দের দাবি এটির সঠিক ব্যবহার।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম রাকিবুল হাসান বলেন, প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন। এই পর্যটকদের সুবিধার্থে কমন ফেসিলেটগুলো হাতে নিয়েছে জেলা পরিষদ ও পর্যটন কর্পোরশেন। এটিকে ম্যানেজমেন্টের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এটি একটি ইজারার মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ কোনো আগ্রহ দেখায়নি। তবে কোনো না কোনো উপায়ে অথবা খাস কালেকশনের মাধ্যমে হলেও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। এ ছাড়াও নানা পরিকল্পনার কথা জানান ইউএনও।
বিডি প্রতিদিন/এমআই