গাইবান্ধায় ফুলছড়িতে জমিজমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত নুরুন্নবী মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নুরুন্নবীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আব্দুল গোফফার ও জহুরুল মিয়া নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ নিয়ে বিচারের দাবিতে গ্রামবাসী ও স্বজনরা ফুলছড়ি থানা ঘেরাও করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে বিক্ষুব্ধ জনতা মানববন্ধন করে। এর আগে সোমবার সকালে নিজ এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন নুরুন্নবী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী মৃত কাবিল উদ্দিনের ছেলে গোফ্ফার মিয়ার সঙ্গে নিহত নুরুন্নবী মিয়ার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে সোমবার সকালে নুরুন্নবী মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষ গোফ্ফার মিয়া উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আহত নুরুন্নবী মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে নুরুন্নবী মিয়ার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে সকালে ফুলছড়ি থানায় গেলে পুলিশের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে। পরে লাশ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গতকাল সকালে বিশৃংঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হয়। দুই পরিবারের লোকজন লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে ওপরের উপর চড়াও হয়। থানা পুলিশের উপস্থিত হয়ে বিশৃংঙ্খলা পরিবেশ শান্ত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ একজন মারা গেলেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে মারা গেছেন সেই অভিযোগর ১ ও ২ নং আসামি গোফপার ও জহুরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ