চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরু ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ১১ মাস পর মূল অপহরণকারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন পাবনা জেলার সুজানগর থানার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক খন্দকারের ছেলে মূল অপহরণকারী মোতালেব খন্দকার (৪২), রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার কান্দা গ্রামের মৃত মোসলেম সরকারের ছেলে আলতাফ হোসেন (৫৬) ও দূর্গাপুর থানার গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়া খাসকামরা গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন (২৫)।
গ্রেফতারকতৃদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি কার ও ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্যের কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর মডেল থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত বছরের ২২ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের সেত্তাজ আলীর ছেলে সাবেক মেম্বর ও গরু ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম গরু কেনার জন্য রাজশাহী সিটি হাট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার বিশ্বরোড মোড় থেকে তাকে একটি কারে অপরহণ করে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুদফায় মুক্তিপণ বাবদ তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পর তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পরের দিন সকালে তাকে রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকায় ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে এ ঘটনায় সাদিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যদার নিম্নে নয় এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পরিপ্রেক্ষিতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলার অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে অপহরণকাণ্ডের জট উদঘাটনসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মূল অপহরণকারী মোতালেব খন্দকার একটি বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এই চক্রটি ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনেককে প্রতারিত করেছে মর্মে বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার ওসি মিন্টু রহমান ও ওসি (তদন্ত) মাকসুদুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল