গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী একদিন ধরে অনশন করছেন। এদিকে প্রেমিক রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, পাঁচ বছর পূর্বে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্বে হতে সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাসেল সরকারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। সম্প্রতি তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল তার ঘরে প্রবেশ করে এবং বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে রাসেল তাকে ধর্ষণ করে আসছিল।
এরই একপর্যায়ে রাসেলকে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলেন ও পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে নিজের কাছে রেখে ওই নারীকে তালাক দেন। এদিকে, পুলিশ রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের মাধ্যমে ১৫১ধারায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
জামিনে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে আসলে ওই নারীর লোকজন রাসেলকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রাসেল বিয়ে না করে তালবাহানা করে আসছিল। বিয়ের দাবিতে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভুক্তভোগী নারী রাসেলের বাড়ির উঠানে একদিন ধরে অনশন করছেন। রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। এই ঘটনায় ওই বাড়িতে লোকজন ভিড় করতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল রাসেল সরকার। ওই নারীর বাবা বলেন, লম্পট রাসেল আমার মেয়ের সংসার ভেঙেছে, আমি ওর বিচার চাই।
এব্যাপারে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, আমি ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রাসেলরা কেউ নেই। রাসেলরা বাড়িতে না থাকায় রাতে আমি ওই নারীকে রাসেলের চাচার বাসায় রেখে এসেছি। সকালে আবার সে রাসেলের দরজার সামনে এসে বসেছে। তবে সে ও রাসেলের ব্যাপারে তাদের পরিবারের সাথে আলোচনা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল