দিনের পর দিন ঠাকুরগাঁওয়ের নদীতে পানি প্রবাহ একেবারেই কমে যাচ্ছে। শুকিয়ে গেছে অনেক নদী। পানিতে স্রোত না থাকায় এসব নদীর বুকে জেগেছে চর। অনেকে আবার নদীর বুকজুড়েই বোরো ধান চাষাবাদ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার টাংগন, সেনুয়া, ভুল্লী, ঢেপা, শুক সহ জেলার মোট ১১টি নদী আছে। যার প্রত্যেকটিরই অবস্থাই খারাপ। বেশিরভাগ নদীর বুকজুড়ে করা হচ্ছে বোরো ধানের চাষাবাদ। একটি সময় আশেপাশের মানুষ এসব নদ-নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে পানি না থাকায় বর্তমানে মাছও কমে গেছে। এতে নদী তীরের মানুষের পেশাও বদলে গেছে।
টাঙ্গন নদীতে বোরো ধানের খেতে সেচ দিচ্ছিলেন আব্দুল আলী। তিনি জানান, নদের বালুচরে আবাদ করায় খরচ কম লাগে। এখানে বোরো আবাদে পানির বাড়তি সেচ লাগে না। খুব বেশি সারও ব্যবহার করতে হয় না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালিদুজ্জামান বলেন, জেলার নদ-নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। জীববৈচিত্রের ওপরও প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে। মাছ বংশ বিস্তারের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। নদীর বুকে চাষাবাদ চলায় সেখানে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কীটনাশকের প্রভাবেও মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাউবির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া বলেন, সংকট মোকাবেলায় কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সারা দেশের নাব্যতা হারানো নদীগুলো ড্রেজিংয়ের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় এই নদীটিও খনন করতে পারব বলে আশা করছি।
ঠাকুরগাঁও শহরের সচেতন মানুষের দাবি অচিরেই নদীগুলো আবার খনন করে নদীকে তার পূর্বের প্রমত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জেলাবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত