ঈদের আগ মুহূর্তে অন্যান্য বছর অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সদরঘাট থেকে লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে আসতো। কিন্তু এবছর সব ধরণের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। স্বাভাবিক সময়ের মতো যাত্রী নিয়ে আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ এ রুটে চলাচল করছে।
সোমবার দুপুরে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী, ময়ুর-২, এমভি মিতালী-৭ লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মফিজুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছর এসময়ে লঞ্চে অনেক যাত্রী থাকতো। ৩-৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুর ঘাটে এসেছিলাম। তবে এবার লঞ্চ যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে।
আরেক যাত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছি। এবারের যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। কোনো কষ্টই মনে হয়নি। যাত্রী শরীফ হোসেন বলেন, লঞ্চ যাত্রা আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব সময় ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বাড়িতে যাই। তবে এবার লঞ্চে কোন ভীড় নেই এবং ভাড়াও আগের মতই নিয়েছে।
চাঁদপুর বিআইডাব্লিউটি'এ-র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহ আলম বলেন, বিগত বছরগুলোতে এতই যাত্রীছিল, তখন ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকতো না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আগামীকাল যদি যাত্রী আরো বাড়ে তাতে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের ২৪ টি বিলাসবহুল লঞ্চ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া আর কোন ধরণের সমস্যা নেই।
চাঁদপুর নৌ পুলিশ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে যাত্রী ও অটোরিকশা চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো যাতে চাঁদপুর সহ দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। ঘাটে আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীরা যেকোন ধরণের হয়রানির অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল