বগুড়ায় চলন্ত সিএনজিতে থাকা অবস্থায় আহত সেই নারীর থুতনিতে গুলির অস্তিত্ব পেয়েছেন চিকিৎসকরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
শজিমেক হাসপাতালের উপ- পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জুলেখা খাতুন নামে ওই গৃহবধূর থুতনির নিচে গলার ভেতরে গুলি আটকে ছিল। এক্সরে রিপোর্টে এটা পাওয়া গেছে। যেহেতু বিষয়টি জটিল তাই আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেছি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায় গোহাইল গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জুলেখা খাতুন রহস্যজনকভাবে আহত হন। ঘটনার সময় সাথে থাকা তার ছেলে জাকির হোসেন দাবি করেন, তার মা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে তখন গুলির কোনো বিষয় জানায়নি পুলিশ।
জুলেখা খাতুনের ছেলে জাকির হোসেন জানায়, বিকালে তারা গোহাইল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বগুড়া শহরে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশায় চালকসহ তারা তিনজন ছিলেন। বিপরীতমুখী চারটি মোটরসাইকেলে আটজন যুবক অটোরিকশাটিকে অতিক্রম করার সময় বিকট শব্দ শুনতে পাই এবং দেখি মা তার ঠোঁটের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এতে তার দুটি দাঁত ভেঙে যায়। পরে তিনি তার মাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি করানোর পর এক্সরে রিপোর্টে থুুতনির নিচে গলার ভেতর গুলি আটকে থাকার তথ্য পাওয়া যায়। পরে মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বগুড়া শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকেরা ওই নারীর গলার ভেতর গুলির অস্তিত্ব পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। আমরাও এই ঘটনা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। যেহেতু গুলি পাওয়া গেছে তাই মামলা দায়ের করা হবে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল