জামালপুরের মাদারগঞ্জে গভীর গর্ত করে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। কখনও কৃষককে ম্যানেজ করে, কখনও অস্ত্রে মুখে ভয় দেখিয়ে ভেক্যু মেশিন দিয়ে এসব মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। ফলে জমির উর্বরতা নষ্টসহ আশপাশের কৃষকের ফসলি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জটিয়ার পাড়া ব্রিজের দক্ষিণ পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ভেক্যু দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। কৃষক মশিউর রহমান জানান, তারা জীবিকার প্রয়োজনে অন্যত্র বসবাস করেন। বাড়ি এসে দেখেন তাদের ক্রয়কৃত জমি থেকে মাটিখেকোরা মাটি কেটে নিচ্ছে। বাধা দিলে তার উপর হামলা করা হয়। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ভেলামারী গ্রামের মৃত আনার সরকারের ছেলে শাহীন, সুবহানের ছেলে আহাজ উদ্দিন, আব্দুর রহমানের ছেলে মামুন ও চরগুজা মানিকা গ্রামের হোসেন এর ছেলে মামুনের নামে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই এলাকার কৃষক নূর ইসলাম বলেন, মাটিখেকোরা আমার বনজ বাগান ঘেঁষে ২০-২৫ ফুট গর্ত করায় বাগান ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ভয়ে ওদের কিছু বলতেও পারছি না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক জানান, মাটি ব্যবসায়ীরা অনেকের কৃষি জমি নামমাত্র মূল্যে ক্রয়করে মাটি বিক্রি করছে। যারা মাটি দিতে রাজি হচ্ছে না অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শামীম কবির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে মাটি কাটা বন্ধ আছে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখব এবং তদন্ত করে দ্রুত মাটিকাটা বন্ধসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফসলি জমি থেকে ইচ্ছা করলেই কেউ মাটি কাটতে পারে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। প্রশাসনের সহযোগীতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল