রিমালের তাণ্ডবে সোমবার সারারাত অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল নেত্রকোনাবাসী। মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কেটেছে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। তবে মঙ্গলবার সকালে কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ একবার আসলেও পরক্ষণে লাইন মেরামতসহ নানা কারণে আবারও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে, সকাল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলেও চলে যাচ্ছে আবার আসছে, এমন অবস্থা বিরাজ করছে জেলার ১০ উপজেলায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঝড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির ক্ষতি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও মুরগির খামারসহ কাঁচা আধাপাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। নেত্রকোনা মহিলা সংস্থার চাল উড়িয়ে আধা পাকা ঘরের অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিংহের বাংলা গ্রামে আবুল কাশেমের পোল্ট্রি ফার্ম সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। আবুল কাশেম জানান, সাড়ে সাত হাজার মুরগির মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের মতো সরালেও অনেকগুলো অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান আমিনুন্নাহার খানম জবা বলেন, অফিসের অর্ধেক ঘরের চাল উড়ে গেছে এবং দেয়াল ভেঙে পড়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অফিসে গিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধের পর ঘরের কাজ ধরা হয়।
চাপরা এলাকার আবদুল কাইয়ুম জানান, নানা ধরনের ব্যানার, ডাল-পালা পড়ে গিয়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সকাল ১০টায় একবার বিদ্যুৎ এসেছিল। আধাঘণ্টা পর আবার চলে গেছে। এদিকে মোবাইল নেটওয়ার্কেরও একই অবস্থা।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের জেলা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, বিচ্ছিন্নভাবে জেলার ১০ উপজেলায় গাছ-পালা ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তেমন জানমালের ক্ষতি হয়নি।
নেত্রকোনা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাহমুদ এলাহি জানান, কাজ করছে সবখানে। দুপুর পর্যন্ত ৮০ ভাগ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাত ১০টা নাগাদ শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই