কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ আছেন।
নিহতরা হলেন, সেন্টমার্টিন পশ্চিম কোনার পাড়ার মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ফাহাদ (২৮) ও মো. ঈসমাইল (২৭)। এখনো সৈকত নামে একজন নিখোঁজ আছেন।
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে টেকনাফের সেন্টমার্টিন পশ্চিম বিচে দুইজনের মরদেহ ভেসে ওঠে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন পশ্চিম বিচে দুইজনের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখা গেছে। ফাহাদ ও ঈসমাইলের স্বজনেরা পরিচয় শনাক্ত করেছে।
নিখোঁজ সৈকতের সন্ধান এখনো মেলেনি। তারা সবাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকানাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রলারটিতে ৬ জেলের সঙ্গে ১২ যাত্রী ওঠেন। ট্রলারটি বেলা আড়াইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন