চুয়াডাঙ্গার সিনেমাহল পাড়ার জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় চারজন পুড়ে মারা গেছেন। চারজনই পুরুষ। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের পরিচয় জানা যায়নি। বিক্ষুব্ধ জনতা শহরেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ দলীয় বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভেল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, সিনেমাহল পাড়ার একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জনতা। এ সময় ঘরে থাকা চারজন পুড়ে মারা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে এলাকার লোকজনও শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও কয়েকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের বাসভবন, তার ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের বাসভবনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা শহরের ঈদগাহ পাড়ার সালাউদ্দিন ও লোটাসের বাড়িতেও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই দু’নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েল পরিবহনের কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়। ওই অফিসে থাকা ফার্নিচার রাস্তায় নিয়ে আগুনে পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শহরের সিনেমাহল পাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নিজস্ব দলীয় কার্যালয়ও আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ