নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল সকাল থেকে আজ বিকাল ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো পণ্য চালান রপ্তানি করেনি ভারত। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় পেট্রাপোল সি ডাব্লিউ সিএস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পাঠায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশের মূল গেট বন্ধ রেখেছে বিএসএফ।
এদিকে, নাশকতার আশঙ্কায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরের গেট খোলেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে পণ্য খালাসের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক নেতাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অনেকেই বেনাপোল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।
সাধারণ শ্রমিকরা পণ্য খালাসের জন্য বন্দর এলাকায় অবস্থান নিলে সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বন্দর চালু রাখতে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বিকাল ৪টায় বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলামের সাথে বৈঠক করেছেন বেনাপোল পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের।
পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশে পরিস্থিতি আগামীকাল স্বাভাবিক হলে আগামীকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই