সিলেটের বিশ্বনাথ থানা এখনও পুলিশ শূন্য। ফেরেননি আত্মগোপনে চলে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা। ৫ দিন বন্ধ রয়েছে থানা পুলিশের সকল কার্যক্রম। ফলে এখনও স্বাভাবিক হয়নি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। স্বস্তি ফিরছে না জনমনে। এ অবস্থায় ‘অরক্ষিত’ থানা কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা।
জানা গেছে, গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিশ্বনাথে লাটিসোটা নিয়ে রাস্তায় বিজয় মিছিলে নামেন ছাত্র-জনতা। বিজয় মিছিলের একপর্যায়ে বিকেল ৬টায় থানায় হামলা চালান বিক্ষুব্ধ জনতা। ভাঙচুর করা হয় থানা ভবন। আগুন দেয়া হয় পুলিশের গাড়ি ও একাধিক মোটারসাইকেলে। লুটে নেয়া হয় পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র। তখন থানা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান ওসি, দারোগাসহ কনস্টেবলরা। এরপর বিএনপি-জামাতের স্থানীয় নেতারা। অরক্ষিত থানার নিরাপত্তায় পুনরায় তালাবদ্ধ করে রাখেন।
আজ শনিবার সকালে থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে। ভেতরে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। এসময় থানার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, থানা কম্পাউন্ডের ডানপাশে পড়ে আছে আগুনে পোড়া মোটরসাইকেলের স্তুপ। ভবনের বামপাশে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙচুর হওয়া পুুলিশের একটি পিকআপ ও লেগুনা গাড়ি। যত্রতত্র পড়ে আছে পুলিশ সদস্যদের ক্ষতবিক্ষত মোটরসাইকেল। গ্যারেজে পড়ে আছে আংশিক পোড়া একটি পিকআপ ও প্রাইভেটকার। পুরো ভবনের চারদিকে পড়ে আছে ভাঙা কাঁচের টুকরো।
থানার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনা সদস্যরা জানান, পুলিশ সদস্যরা স্টেশনে এখনও যোগদান করেননি। পরবর্তীতে যাতে আর কোন আনাকাঙিক্ষত ঘটনা না ঘটে সেজন্যে অরক্ষিত থানার নিরাপত্তায় আমরা দায়িত্ব পালন করছি।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রতর্বী ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন,‘থানায় ফিরে আসার পরিবেশ এখনও তৈরী হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দায়িত্বে ফিরবো আমরা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল