নড়াইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চিরঅম্লান চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে শনিবার এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা প্রশাসন, সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআনখানি, শিল্পীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) এম.এম আরাফাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, আনসার ও ভিডিপি’র জেলা অ্যাডজুট্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুর্বনা রায়, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, সুলতান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ, চিত্রশিল্পী বলদেব অধিকারী, এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, সেক্রেটারি চিত্রশিল্পী বিমানেষ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমূখ।
১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট শিল্পী সুলতান নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘঁষামাজার মধ্য দিয়ে ছোট বেলার লাল মিঞার (সুলতান) চিত্রাংকনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়। ১৯৪৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পী সুলতানের ছবি ভারতের সিমলা,পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঢাকায় খ্যাতনামা বিভিন্ন চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রদর্শিত হয়।
চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার, অসাম্প্রদায়িক এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তাকে সমাহিত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল