ফেনীতে ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের মূলহোতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ফেনী শহরের দাউদপুল ও আরামবাগে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ অক্টোবর দাগনভূঁইয়া থানার বাসিন্দা শহীদ উল্লাহকে (টাইলস মিস্ত্রি) কাজের কথা বলে সন্ধ্যায় ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় থেকে মোটরসাইকেলযোগে দাউদপুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে সেখানে কাজের কথা বলে পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে ভুক্তভোগী শহীদকে উঠিয়ে জিম্মি করে রাখে তারা। প্রথম পর্যায়ে তাকে মারধর করে বহিরাগত দুই মহিলা এনে জোরপূর্বক আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে শহীদের ভাইয়ের কাছে থেকে বিকাশে ৪০ হাজার টাকা ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অজ্ঞাত ৬/৭ জন অভিযুক্ত। পরে মধ্যরাতে তাকে নির্জন স্থানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ওই দিনই ভুক্তভোগী শহিদ উল্লাহ (৪৩) বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের ৬ ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে এসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মডেল থানার একটি টিম ব্ল্যাকমেলিং চক্রের মূলহোতা বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের থানার বাসিন্দা আলিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু মোল্লা (৩৭) ও তার সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা কামালকে (২৯) গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সংবাদ শুনে আসছি। এরই প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী শহীদের দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে মূলহোতা মিন্টু মোল্লাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া এই চক্রের বাকি সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন অফিসার ইনচার্জ মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
বিডি প্রতিদিন/একেএ