চাঁদপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নদীপথে লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযান চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষায় লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ঘাটে নৌ পুলিশ অঞ্চলের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর নৌ পুলিশ অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান, কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার সাব-লেফটেন্যান্ট মো: ফজলুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম, চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবাল, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি মো: রুহুল আমিন হাওলাদার, বিআইডব্লিউটিএ-এর উপ-পরিচালক বাবু লাল সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। সভায় বক্তারা ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি জনাব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বক্তব্যে বলেন, লঞ্চে উপস্থিতির ব্যবস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নদীর মাঝখান থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে যাত্রী ওঠানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে এবং পাঁচ দিন পর পর্যন্ত লঞ্চঘাটে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের নির্ধারিত পার্কিং এলাকায় অবস্থান করতে হবে এবং লঞ্চের কাছে এসে যাত্রীদের টানাটানি করা যাবে না। ঈদ উপলক্ষে চুরি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি স্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেন যে, স্পিডবোট কেবল দিনের বেলায় চলবে এবং রাতের বেলা স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, লঞ্চে পলিথিন মোড়ানো খাবার বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। যাত্রীরা যদি খাবার সঙ্গে নিয়ে আসেন, তবে যেন কোনোভাবেই ব্যবহৃত পলিথিন নদীতে না ফেলে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ভাড়া আদায় করা যাবে না। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে আচরণ করতে হবে। যাত্রীদের জোরপূর্বক লঞ্চে ওঠানোর জন্য টানা-হেঁচড়া করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। প্রত্যেক যাত্রী নিজ সুবিধামত লঞ্চে উঠবেন। লঞ্চের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরা নির্ধারিত পার্কিং এলাকায় অবস্থান করবেন এবং যাত্রীদের টানাটানি করা থেকে বিরত থাকবেন। কোনো অবস্থাতেই সিএনজি বা অটোরিকশা চালকরা পল্টুন পর্যন্ত যাত্রী নিতে পারবেন না। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট অনুসারে ভাড়া গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্রুততম সময়ে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে লাইসেন্স গ্রহণে আহ্বান জানান। প্রতিটি লঞ্চে নামাজে র ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী লঞ্চ পরিচালনা করতে হবে। ২০ রমজান থেকে ঈদের কার্যক্রম শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম