বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেছেন, একটি উদ্ভট কাল্পনিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু মৌলবাদী সংগঠন এবং কিছু সুবিধাবাদী সংগঠন বিএনপির বিরুদ্ধে কৌশলে অপপ্রচার শুরু করে দিয়েছে। পীর ফকির ধান্ধাবাজদের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা যদি মনে করে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে অপমান করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবে, টাহোলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। দেশের মানুষের কাছ থেকে তারেক রহমানের ইমেজ নষ্ট করা যাবে না।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। টুমচর আসাদ একাডেমিতে এ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।
আবুল খায়ের ভূঁইয়া আরও বলেন, দেশের মানুষ বোকার স্বর্গে বাস করে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার হয়েছে জিয়া পরিবার। আমরা লাখ লাখ নেতাকর্মী নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি। সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করেছে জিয়া পরিবার। সেই জিয়া পরিবারকে নিয়ে এখন আবোল তাবোল কথা বলা হচ্ছে। যারা এ সমস্ত কথা বলে তারেক রহমানের সামনে তাদেরকে দাঁড় করান। তাদের ইতিহাস, অতীত, বর্তমান সব মিলিয়ে তারেক রহমানের সাথে সকলকে দাঁড় করান, তাদের অবস্থান কোথায়?
তিনি বলেন, দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। '৭১ সালে, '৯০ এর গণুভ্যুত্থানে, ২০০১ সালেও জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকার পতন হয়েছে, সেখানেও জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সেইদিন ভুলিনি। আমরা আমাদের রাজনীতি করিছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে অনুরোধ করছি এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পূর্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। যতটুকু সম্ভব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সাথে নিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার ততটুকু দ্রুত গতিতে শেষ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ কারপক্ষে আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রশিদ বেপারী, সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল করিম ভূঁইয়া মিজান, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সোহেল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোক্তার হোসেন ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক হাসিবুর রহমান ওভি প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ