শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:২৩, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ আপডেট: ১৩:৫০, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

এক-এগারোর মতো টার্গেটে ব্যবসায়ীরা!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
এক-এগারোর মতো টার্গেটে ব্যবসায়ীরা!

আবারও ব্যবসা আক্রান্ত। চারদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-অনিশ্চয়তা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেওয়া ‘ট্রাভেল অ্যালার্টে’ আস্থা পাচ্ছেন না বিদেশিরা। বিনিয়োগ তলানিতে। কারখানায় পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা। জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর। কাঁচামাল আমদানিতে ধীরগতি। স্বাভাবিক উৎপাদনব্যবস্থা ব্যাহত। জ্বালানিসংকট। নতুন কাজের সুযোগ বাড়ছে না, বরং সংকুচিত হচ্ছে কাজের পরিবেশ। এ রকম হাজারো সমস্যা চেপে বসেছে ব্যবসা-বাণিজ্য-অর্থনীতির ঘাড়ে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়, একের পর এক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারাই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর ঘুরেফিরে আবারও তারাই টার্গেটে। 

এ রকম অনেক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা তাদের উদ্বেগ-আতঙ্ক আর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, দেড় যুগ আগে এক-এগারো পটপরিবর্তনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ওপর যে জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছিল, ওই ঘা এখনো শুকায়নি। ওই সময় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ধরে আটকে রাখা, অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং ব্যাবসায়িক পরিবেশ বিপন্ন করে দেশের ঘাড়ে বেকারত্বের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। দেশের অর্থনীতি আবারও সেই পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে কি না, এ নিয়েই তারা এখন শঙ্কিত। এক-এগারোর পরিস্থিতির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি একই পন্থায় শিল্প খাতে অরাজক পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী শিল্পোদ্যোক্তাদের।

অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসে বড় বাঁকবদল ঘটে যায়। সে সময় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। একই সঙ্গে বেছে বেছে শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তাদের হয়রানির মাধ্যমে দেশে ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট করায় অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। আবারও সেই একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটুক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ীর নামে হত্যা মামলাসহ নানাবিধ হয়রানির কারণেই ওই আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছে বলে তাদের মত। দেশের এই ক্রান্তিকালে শিল্প খাতের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, কোনো একটি স্বার্থান্বেষী চক্র জন-আকাঙ্ক্ষার অন্তর্বর্তী সরকারের কাউকে কাউকে ভুল বুঝিয়ে, এ সরকারকে বিতর্কিত করতে কিংবা পরিস্থিতি ঘোলা করতে ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রতিবন্ধকতার মুখে ফেলতে চাইছে। এরই মধ্যে এমন অনেক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ী গ্রুপ নিত্যপণ্যের বেশির ভাগ আমদানি করে বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখছে, তাদের টার্গেট করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। শীর্ষ অনেক ব্যবসায়ীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের পুরো ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মাঝে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। 

ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও বড়দের হয়রানি দেখে যাতে ‘চুপ’ হয়ে যায় এ ধারণা কাজ করছে তাদের মধ্যে। এতে উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। তারা নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। আমদানিতেও বাধা পাচ্ছেন। এতে অনেকের উৎপাদন সক্ষমতাও কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া চারদিকে কারো কারো মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতায়ও তারা ভীত। সবার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভীতি। বিনিয়োগ করে লোকসানের আতঙ্কে অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। সামনে কী হয়-না হয় তারা এমন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

জানা গেছে, ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২১৬ জন বড় শিল্পোদ্যোক্তা ও রাজনীতিককে কারাগারে আটক রাখা হয়। সে সময় ব্যবসায়ীদের জরিমানার নামে শুধু হয়রানি করাই হয়নি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সরকারের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ভয়ে আরো প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হয় এক হাজার ২৩২ কোটি টাকা।

এক-এগারোর পর ১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাননি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। ১৭ বছর আগের ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেক ব্যবসায়ী। সেই সময় দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক ধাক্কা লেগেছিল তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতেও লেগেছে দীর্ঘ সময়। 

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের উচিত ছিল অবৈধভাবে যেসব খলনায়ক দেশের ১৭ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন তাদের ফিরিয়ে আনা। তাদের বিচারের মুখোমুখি করে কঠিন শাস্তি দেওয়া। তারা আশঙ্কা করছেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা মামলা, হয়রানিসহ নানা সংকটে নিপতিত হয়েছেন, তাতে তারা ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতির মিল পাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও বিভিন্ন হুমকির কারণে বিনিয়োগ হুমকিতে পড়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এর সঙ্গে ডলার সংকট, এলসি জটিলতাসহ নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এক-এগারোর ধকল

ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারি দমন-পীড়নের কারণে বিনিয়োগে যে ভাটা পড়েছিল, তা এখনো নাজুক অবস্থায়ই রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ নেমে গিয়েছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। নতুন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে। উল্টো বন্ধ ও সংকুচিত হয়েছে অনেক শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ফলে বেকারত্বের হারও তখন ছিল সর্বোচ্চ।

১-১১-এর সরকারের আমলে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করে ওই গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কম্পানির ঊর্ধ্বতন ১৪ জন কর্মকর্তাকে ১-১১-এর সরকার একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ধরে নিয়ে তাদের ইন্টারোগেশন সেলে কথিত (আয়নাঘরে) এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত আটক রেখে নানাভাবে অবর্ণনীয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। অনেককে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে ১২ বছরের বেশি জেল খাটিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ পরিবারের অনেকের নামে ও গ্রুপের ১৪ জন কর্মকর্তার নামে প্রায় ৩৫টি মিথ্যা মামলা করা হয়। একইভাবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৫টি মিথ্যা মামলা হয়েছে। অনেককে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে ১২ বছরের বেশি জেল খাটিয়েছে।’

১-১১-এর সরকারের আমলে জুলুমের শিকার ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক ওই পরিচালকদের দিয়ে আমাদের গ্রুপের জমি বিক্রি করে ২৫৬ কোটি টাকা তৎকালীন একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নিয়ে যায়। আমাদের কম্পানির নামে থাকা একটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শেয়ার জোরপূর্বক অন্যের নামে লিখিয়ে নিয়ে যায়। পরে টাকা ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করলে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়, যা পরে আপিল বিভাগও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই টাকার একটি কানাকড়ি আজও ফেরত পায়নি।’

এক-এগারোর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা কারাগারে থাকায় তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধস নামতে থাকে। খেলাপি হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। মাসের পর মাস বকেয়া পড়ে কর্মীদের বেতন। ওই অবস্থায় অনেকেই কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরিতে ইস্তফা দেন। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশেরও বেশি।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তখনকার এক গবেষণার তথ্য মতে, ‘ওই সময় চাল, আটা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নতুন করে দুই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ শতাংশ।’

কেমন আছেন ব্যবসায়ীরা, কী বলছেন তারা

ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে নানা কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য যেভাবে স্থবির ছিল, নতুন সরকার আসার পর তাতে গতি ফিরবে। উল্টো শিল্প-কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ব্যবসায়ীদের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখন আশাহত। নতুন বিনিয়োগ দূরে থাক, তারা কারখানা চালিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছেন। সম্প্রতি একজন গার্মেন্ট উদ্যোক্তাকেও পিটিয়েছে একটি পক্ষ। এতে ১০টি ব্যাবসায়িক সমিতি উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। 

ডিসিসিআইয়ের ব্যাবসায়িক সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে। তারা বলছেন, উচ্চ সুদের হার, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশে বিনিয়োগে স্থবিরতা চলছে। এর ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে শিল্পোৎপাদন। এর নেতিবাচক প্রভাব সামনে পড়তে পারে ‘সাপ্লাই চেইনে’ এখন এ আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও মাল্টিমোড গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে যারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, তারাই নিগৃহীত ছিলেন। বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দরকার বিনিয়োগ, কিন্তু দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। বিনিয়োগকারীরা এখন চতুর্মুখী বিপদের সম্মুখীন। ব্যবসায়ীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের নেওয়া উচিত ছিল।’

স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. হুমায়রা ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি খাতে ব্যবসায়ীদের আস্থার পরিবেশ ফেরানো অত্যন্ত জরুরি। ক্ষতি পোষাতে ও পূনর্বিনিয়োগের জন্য ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেটা না হলে পণ্য সরবরাহ যেমন, ক্ষুদ্র তারকাঁটা থেকে খাদ্যসামগ্রী-সব কিছুতেই মারাত্মক সংকট দেখা দেবে। তার ভুক্তভোগী নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকল প্রকার ভোক্তাই হবেন।’

আইনজ্ঞরা বলছেন, বড় বড় ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা কেবল আইনের ব্যত্যয়ই নয়, দেশের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের পরিপন্থী।   শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সারা দেশে অনেকের নামে মামলা হয়। এতে এমন ব্যবসায়ীদেরও আসামি করা হচ্ছে, যাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ‘শিক্ষার্থী হত্যার দায়ে’ মামলা হয়েছে খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীনের বিরুদ্ধেও।

ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির তথ্য মতে, ৫ আগস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর থানাগুলোয় হত্যা মামলা হয়েছে ২৪৮টি।  অনুসন্ধান বলছে, মামলার বেশির ভাগ এজাহার একই ধরনের। এজাহারে থাকা ঠিকানার সূত্র ধরে আসামির খোঁজ করে জানা যায়, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকা অভিযুক্ত ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একজন। 

বিটোপি গ্রুপের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম আজাদ জানান, ‘বিজিএমইএ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধেও এমন মামলা করা হয়েছে। অথচ যে অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে, সেই অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।’

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এ ধরনের মামলার কারণে কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়ছেন, মালিক না থাকায় তাদের প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’

দেশের অন্যতম রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান ফকির গ্রুপের এইচআর ও কমপ্ল্যায়েন্সের মহাব্যবস্থাপক সুমন কান্তি সিংহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমাদের গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, অথচ বিগত সরকারের আমলে তাদের  কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাই ছিল না। এই মামলার ফলে বিদেশি ক্রেতারা আমাদের সততা, নিষ্ঠা নিইয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এতে আমাদের কম্পানিসহ দেশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘একটি সুকৌশলী কুচক্রী মহল সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই অশুভ গোষ্ঠীকে প্রতিহত ও পূর্ণশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী একটি চক্র অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারাই দেশের শিল্প-কারখানায় আক্রমণ করছে। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’

১২৩২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত একটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং টিএফআই কর্মকর্তারা প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক হাজার ২৩২ কোটি টাকা আদায় করেন। এই টাকা দুই শতাধিক পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ০৯০০ নম্বর হিসাবে জমা হয়। জুলুম করে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি উঠেছে ব্যবসায়ী মহলে।

বর্তমানে ওই টাকা কী অবস্থায় আছে- জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, টাকাগুলো কিভাবে আছে তা সরকার জানে। তবে চলতি হিসাবে টাকাগুলো জমা হওয়ায় এই টাকার কোনো সুদ হয়নি। টাকাগুলো সরকার ফেরত দেওয়ার চিন্তা করতে পারে বলে মত দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।

ব্যবসায়ীদের ৬১৫ কোটি টাকা ফেরতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় ২০১৭ সালের ১৫ মে প্রকাশিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, কোন ক্ষমতাবলে এবং কিভাবে তারা টাকাগুলো উদ্ধার করে বা জোরপূর্বক নেয়, তা ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সরকার নীরব থেকেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তার প্রধান নির্বাহী এই অনৈতিক ও অমানবিক কাজকে সমর্থন করেছেন।

অর্থ ফেরতের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, ‘২০১৭ সালে আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন) করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন পর্যন্ত সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীরাও আর টাকা ফেরত পাননি।’ কবে নাগাদ আবেদনটির শুনানি হতে পারে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘যেকোনো সময় শুনানি হতে পারে। আমরা শুনানি করতে প্রস্তুত আছি।’

ব্যবসা থেকে রাজনীতিকে আলাদা করার পরামর্শ

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের (পিইবি) চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আর রাজনীতি এই দুটি বিষয়কে আলাদা রাখতে হবে। কেউ অপরাধ করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ব্যবসার সার্বিক পরিবেশে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে- সে জন্য অবশ্যই ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকতে হবে। শুধু রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে যেন কাউকে ভোগান্তি না পোহাতে হয়।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, শুধু রাজনৈতিক সমর্থন ছিল, কিন্তু কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল না সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যাবে না। তাতে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উৎপাদন ব্যাহত হবে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আপনারা এমন সমাজব্যবস্থা করেন যেখানে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি না করলে ব্যবসা চালাতে পারবেন না, ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন না। রাজনীতিবিদরাই তো সমাজকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এখন সব দোষ ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের ওপর দিলে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। আমার তো মনে হয় আরো বাড়বে।’

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘আমাদের ওয়ান-ইলেভেনের অভিজ্ঞতা ভালো না। সেই সময় ব্যবসায়ীদের জুলুম করে দেশের সংকট ত্বরান্বিত করা হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একই ভুল করবে না বলে আমি আশা করি।’

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ।
 
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
‘ব্যাংকিং খাতে সংস্কার সময়সাপেক্ষ বিষয়, নির্বাচিত সরকার এসেই এটি করবে’
‘ব্যাংকিং খাতে সংস্কার সময়সাপেক্ষ বিষয়, নির্বাচিত সরকার এসেই এটি করবে’
স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার
স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
শুল্ক-কর জমা দিতে অনলাইনে চালু হলো ‘এ-চালান’ সেবা
শুল্ক-কর জমা দিতে অনলাইনে চালু হলো ‘এ-চালান’ সেবা
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ভারতের
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনীর ড্রাই ডক
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনীর ড্রাই ডক
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
সরকারের কঠোর অবস্থানে আতঙ্কিত এনবিআর কর্মকর্তারা
সরকারের কঠোর অবস্থানে আতঙ্কিত এনবিআর কর্মকর্তারা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন
শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন
বৈদেশিক মুদ্রা‌ জামানত রেখে টাকায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ
বৈদেশিক মুদ্রা‌ জামানত রেখে টাকায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ
সর্বশেষ খবর
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাবির ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাবির ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শোকের মিছিলে কারবালা স্মরণ
শোকের মিছিলে কারবালা স্মরণ

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

থ্রেডসে ‘মেসেজ সিস্টেম’ আনলো মেটা
থ্রেডসে ‘মেসেজ সিস্টেম’ আনলো মেটা

৩০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল
একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

৩১ মিনিট আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

খিলগাঁওয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
খিলগাঁওয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, এখনও নিখোঁজ বহু
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, এখনও নিখোঁজ বহু

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের আভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
তিন বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের আভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

সিলেটে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা
সিলেটে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা

৫৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ
লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুভেন্টাসে পাড়ি জমালেন কানাডার রেকর্ড গোলস্কোরার
জুভেন্টাসে পাড়ি জমালেন কানাডার রেকর্ড গোলস্কোরার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তুরস্কে তিন বিরোধীদলীয় মেয়র গ্রেফতার
তুরস্কে তিন বিরোধীদলীয় মেয়র গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?
এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হজে ৪৩ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন ৬৬ হাজারের বেশি হাজি
হজে ৪৩ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন ৬৬ হাজারের বেশি হাজি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির
মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাইলেই লুকানো যাবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লাইক সংখ্যা
চাইলেই লুকানো যাবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লাইক সংখ্যা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নারায়ণগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি
যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোসনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
হোসনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ
স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগস্ট থেকে তেলের উৎপাদন বাড়াবে ওপেক প্লাস
আগস্ট থেকে তেলের উৎপাদন বাড়াবে ওপেক প্লাস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট
২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কুয়াকাটায় ক্যারিয়ার ও মোটিভেশনাল বিষয়ক সেমিনার
বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কুয়াকাটায় ক্যারিয়ার ও মোটিভেশনাল বিষয়ক সেমিনার

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাবিপ্রবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা
শাবিপ্রবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হাতীবান্ধায় হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হাতীবান্ধায় হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’
রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক
অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক

২০ ঘণ্টা আগে | পরবাস

অস্ত্র হস্তান্তর করবে না হিজবুল্লাহ
অস্ত্র হস্তান্তর করবে না হিজবুল্লাহ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত মদ্যপানে অভিনেত্রীর মৃত্যু!
অতিরিক্ত মদ্যপানে অভিনেত্রীর মৃত্যু!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পক্ষপাতিত্ব করলে নুরুল হুদার মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে : জ্বালানি উপদেষ্টা
পক্ষপাতিত্ব করলে নুরুল হুদার মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে : জ্বালানি উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক সিইসি শামসুল হুদার মৃত্যুতে ইসির শোক
সাবেক সিইসি শামসুল হুদার মৃত্যুতে ইসির শোক

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে