শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫

পান্তা সাহেব হেস্টিংস ও বর্ষবরণ

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পান্তা সাহেব হেস্টিংস ও বর্ষবরণ

১৭৫৬ সাল। সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা আক্রমণ করলেন। কলকাতা আক্রমণের আগে তিনি কাশিমবাজার দখল করে নিয়েছিলেন মাঝপথেই। ইংরেজ সাহেবরা ভয় পেয়ে কাচুমাচু হয়ে নবাবের কাছে এসে ধরা দিল। বন্দী সাহেবদের হাতে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো মুর্শিদাবাদের গারদখানায়। সেই সাহেবদের মধ্যে বাংলার পরবর্তী গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসও ছিলেন। কাশিমবাজারের ওলন্দাজ কুঠির সর্বেসর্বা ছিলেন ভিনেট। সেই ভিনেট গিয়ে নবাবকে ধরাধরি করতে লাগলেন- 'হুজুর হেস্টিংসকে ছেড়ে দিন। সে কোম্পানির সামান্য একজন কর্মচারী মাত্র। তার ছোবলও নেই, বিষও নেই।' হেস্টিংসকে ছেড়ে দিলেন নবাব। হেস্টিংস সোজা চলে এলেন কাশিমবাজারে।

ওদিকে সিরাজের আক্রমণের ভয়ে কলকাতা কুঠির সাহেব-সুবোরা সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন ফলতায়। এ সময় হেস্টিংস করলেন কী- নবাবী শাসনের যা কিছু গোপন খবর সব জোগাড়যন্ত্র করে পাঠাতে লাগলেন ফলতায়। কথায় আছে, 'ইজ্জত যায় না মইলে খাসলত যায় না ধুইলে।' হেস্টিংসের হয়েছে তখন সেই অবস্থা। তার গোপনে খবর পাঠানোর এ ব্যাপারটা বেশিদিন গোপন রাখা গেল না। সিরাজ সিদ্ধান্ত নিলেন হেস্টিংসকে আবার জেলে পুরবেন। খবর পেয়েই হেস্টিংস কাশিমবাজার ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। এখনই কোথাও লুকিয়ে পড়া দরকার। হেস্টিংস ভাবতে লাগলেন, কোথায় যাওয়া যায়? কার কাছে যাওয়া যায়? ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে গেল কান্তবাবুর নাম। অন্ধকারে চুপি চুপি তিনি হাজির হলেন কান্তবাবুর দোকানে। সেখান থেকে তার বাড়িতে। কান্তবাবুর ভালো নাম কৃষ্ণকান্ত নন্দী। বাবা রাধাকৃষ্ণ নন্দী। আদি বাড়ি ছিল বর্ধমানের সিজনা গ্রামে। সেখান থেকে কান্তবাবু চলে এসেছিলেন কাশিমবাজারে। কেননা দেশজুড়ে কাশিমবাজারের তখন দারুণ নামডাক। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র তখন কাশিমবাজার। কাশিমবাজারে কান্তবাবুর ব্যবসা ছিল সুপুরি ও রেশমের। দোকানটা আবার ইংরেজদের কুঠি আর রেসিডেন্টের সঙ্গে একেবারে লাগোয়া। ফলে অচিরেই ইংরেজদের সঙ্গে বেশ একটা মাখামাখি ভাব হয়ে গেল কান্তবাবুর। ইংরেজদের সঙ্গে মেলামেশা থেকে কান্তবাবু নাকি প্রায় দুই হাজারের মতো ইংরেজি শব্দ আয়ত্ত করে ফেলেছিলেন। ব্যবসাপত্রের হিসাব-নিকাশে হাত ছিল পাকা, তাই একদিন চাকরিও পেয়ে গেলেন ইংরেজ কুঠিতে। মহুরীর চাকরি, সেটা ছিল ১৭৫৩ সাল। সামান্য একটা চাকরি নিয়ে তখন হেস্টিংসও কাশিমবাজারে এসে হাজির। সেই থেকে কান্তবাবুর সঙ্গে হেস্টিংসের চেনাজানা। যাই হোক, কান্তবাবু হেস্টিংসকে দেখে তো স্তম্ভিত! কোথায়? কিভাবে লুকিয়ে রাখবেন তিনি হেস্টিংসকে? কান্তবাবু প্রথম কয়েকদিন তাকে লুকিয়ে রাখলেন তার মুদি দোকানে। তারপর গোপনে হেস্টিংসকে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাড়িতে। দোকানে হাতের কাছে তেমন কিছু না পেয়ে কান্ত বাবু হেস্টিংসকে আপ্যায়ন করেছিলেন পান্তাভাত আর চিংড়ি মাছ দিয়ে। হেস্টিংসের পলায়নপর্বের খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। আর তখনই মানুষের মুখে মুখে জন্ম নিল এই ছড়া- বেচারা হেস্টিংসের এই পলায়নকে অমর করে রাখতে। হেস্টিংস সিরাজভয়ে হয়ে মহাভীত/কাশিমবাজারে গিয়া হন উপনীত।/কোন স্থানে গিয়া আজ লইব আশ্রয়/হেস্টিংসের মনে এই নিদারুণ ভয়।/কান্তমুদী ছিল তাঁর পূর্ব পরিচিত/ তাহারি দোকানে গিয়া হন উপনীত।/ মুস্কিলে পড়িয়া কান্ত করে হায় হায়/হেস্টিংসে কি খেতে দিয়া প্রাণ রাখা যায়?/ ঘরে ছিল পান্তাভাত আর চিংড়ি মাছ/ কাঁচা লঙ্কা, বড়ি পোড়া, কাছে কলাগাছ।/সূর্যোদয় হল আজি পশ্চিম গগনে/হেস্টিংস ডিনার খান কান্তের ভবনে। সেই পান্তাভাত আর চিংড়ি মাছ খাবার পর অনেকদিন পার হয়ে গেছে। হেস্টিংস যেদিন গভর্নর জেনারেল হলেন সামান্য কর্মচারী থেকে, সেদিনও তিনি ভোলেননি দুঃখের দিনের উপকারী বন্ধু কান্তবাবুকে। তাকে করে নিয়েছিলেন নিজের প্রিয়তম সাগরেদ। ক্রমেই কান্তবাবু হয়ে উঠেছিলেন হেস্টিংসেরই আরেকটি ছায়া।

ওয়ারেন হেস্টিংস না হয় বিপদে পড়ে পান্তা খেয়েছিলেন কিন্তু আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে পান্তা-ইলিশের চল কেন ও কীভাবে শুরু হলো তা একটি ভাবার বিষয়। ইলিশ-পান্তা খাওয়ার প্রচলন সম্ভবত শুরু ১৯৮২-'৮৩ সালের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্নভাবে পান্তা ও ইলিশ খাওয়ার ইতিহাস আমাদের সংস্কৃতিতে অতি প্রাচীন। রামায়ণে দেখা যায় যে, সীতা পোলাও রান্না করে রামকে খাওয়াচ্ছেন। ঠিক তেমনি সেই যুগের ঋষি-মুনিরা শুধু পোলাও কিংবা অষ্ট ব্যঞ্জন দিয়েই আহার করতেন না, পান্তাও খেতেন। তবে দুই, আড়াই হাজার বছর আগে যেহেতু কাঁচা লঙ্কাই ছিল না, সেহেতু পান্তা খাওয়া হতো চিংড়ি চচ্চড়ি, মৌরলা মাছের ঝোল অথবা বেগুন পোড়া দিয়ে। প্রাচীন যুগে মরিচের প্রচলন ছিল না বললাম এই অর্থে যে, আমাদের দেশে কাঁচা মরিচের আগমন ১৫০০ সালের দিকে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামার হাত ধরে। সম্রাট শাহজাহানের আমলে মরিচের প্রচলন ভারতের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগ পর্যন্ত ব্যঞ্জনগুলোতে ঝালের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হতো গোলমরিচ, পিপলু আর আদা। তবে বলে রাখা ভালো, মরিচের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ায়। সে দেশের আদিবাসীরা মরিচ খেয়ে আসছে আনুমানিক চার হাজার বছর ধরে। স্পেনীয়, পর্তুগিজ ও ইতালিয়ান নাবিকদের কল্যাণে এই মরিচ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে প্রথমে আসে ইউরোপে এবং পরবর্তীতে ভাস্কো-দা-গামার বদৌলতে চলে আসে আমাদের এই ভারতবর্ষে। ভাস্কো-দা-গামা আরও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন কামরাঙ্গা, আনারস, টমেটো প্রভৃতি ফল ও আনাজ।

পান্তাভাত বা পানি ঢালা ভাত খাওয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণত বাঙালির সাধারণ জীবনাচরণের সন্ধান ও অপচয়বিরোধী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে জ্বালানি বাঁচানোর বিষয়টি তো রয়েছেই। গ্রামের পাঠশালায় গমনকারী ছাত্র বা কৃষিজীবী মানুষের পান্তা খেয়ে কাজ শুরু করার প্রথা এই তো বেশকিছু দিন আগে পর্যন্তও আমি দেখেছি। একটি শিশু ছড়া আছে এমন- 'পান্তা খেয়ে শান্ত হয়ে কাপড় দিয়ে গায়/গরু চড়াতে পাঁচন হাতে রাখাল ছেলে যায়।'

আমার জন্ম ঢাকায় হলেও আমার নাড়িটি মনে হয় পোঁতা আছে আমার বাপ-দাদার ভিটেয়। শৈশব থেকে অদ্যাবধি গ্রামের সঙ্গে আমার সম্পর্কটি অত্যন্ত নিবিড়। আমার বাবা আমাকে সব সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন গ্রামে। ধান খেতের আলের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতাম দূর-বহুদূর অবধি। তখন দেখেছি গ্রামের অনেক দেহাতি কৃষক হয়তো অর্ধেক অর্ধকর্ষিত নাবাল জমির ওপর বসে গেছেন এক গামলা পান্তাভাত নিয়ে। সঙ্গে শুধু গোটাকয়েক পিয়াজ ও মরিচ। দু'একজনকে আবার দেখতাম শুধু প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ দিয়েই পান্তা খেতে। তাদের এই মরিচ খাওয়া দেখে আমি রীতিমতো অাঁতকে উঠতাম। জিজ্ঞাসা করতাম এত মরিচ তারা কেন খাচ্ছে? উত্তরে পাবনার আঞ্চলিক ভাষায় তারা বলতেন- 'এত মরিচ না খালি পরে চোইত মাসের এই রোদি গাও পুড়ি ছাই হয়য়া যাবিনি।' এই কথার অর্থ হলো- প্রচুর পরিমাণে মরিচ খেলে শরীরে রোদের অাঁচ কম অনুভূত হয়।

বাংলাদেশে আগের দিন রান্না করা ভাতে পানি ঢেলে পান্তা তৈরি করার বিশেষ রীতি আছে। বরিশাল জেলায় এই ভাতকে বলে 'পসুতি' ভাত। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় গরম ভাতে পানি ঢেলে রাখলে তাকে বলা হয় 'পোষ্টাই' ভাত। এই ভাত খেলে নাকি পেট ঠাণ্ডা হয়। দুর্গাপূজার দশমীর দিন সকালে দেবী দুর্গাকে পান্তাভাত আর কচুর শাক নিবেদন করে বাঙালি হিন্দুরা তাদের প্রিয় দেবীকে বিদায় জানায়। এর পেছনে অবশ্য মজার একটি মিথ চালু আছে- দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেয়েরা সাধারণত তাদের পিতার গৃহে আসেন। তিনদিন ধরে বাপের বাড়িতে নানা স্বাদু ব্যঞ্জন দিয়ে তারা খাবার খান বটে কিন্তু সেই তথ্য স্বামীর কাছে গোপন রাখার জন্যই দেবী বিদায়ের দিনে কচুর শাক দিয়ে পান্তা খান। অথচ স্বামীর কাছে গিয়ে বলেন, দরিদ্র পিতা তার কন্যাকে এর চেয়ে বেশি কিছু আহার করাতে পারেননি। যাতে করে এই কথা শুনে তার স্বামী সারা বছর তাকে ভালো-মন্দ খাওয়ান। বড় বড় সাহিত্যিকদেরও দেখি আমোদ-আহ্লাদ করে কিংবা কখনো অভাবে পড়ে পান্তা খেতে। রবীন্দ্রনাথও পান্তা খেতে পছন্দ করতেন, বিশেষ করে তার নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবীর হাতের পান্তাভাত ও সঙ্গে চিংড়ি মাছের চচ্চড়ি। এ জন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনস্মৃতি গ্রন্থে লিখেছেন- 'ইসকুল থেকে ফিরে এলেই রবির জন্য থাকে নতুন বউঠানের আপন হাতের প্রসাদ। আর যেদিন চিংড়ি মাছের চচ্চড়ির সঙ্গে নতুন বউঠান নিজে মেখে দেয় পান্তাভাত, অল্প একটু লঙ্কার আভাস দিয়ে সেদিন আর কথা থাকে না।' কবি রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্যেও টেনে এনেছেন পান্তাভাতের বিষয়টি। বিশেষ করে তার 'রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা' গল্পে আমরা দেখি পান্তাভাত খাওয়ার বর্ণনা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিংবা আমাদের পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ছাত্রাবস্থায়, তাদের পান্তা খেতে হয়েছে অভাব-অনটনের কারণে। কবি জসীমউদ্দীন ফরিদপুর থেকে পালিয়ে যখন কলকাতায় যান কবিযশ খ্যাতি পেতে, তখন সেখানে তিনি উঠেছিলেন তার এক দূর-সম্পর্কের বোনের ওখানে। তার ওই বোনটি এত অভাব-অনটনের মধ্যে ছিলেন যে, জসীমউদ্দীনকে তিনি দুবেলা ভালো করে খাওয়াতে পর্যন্ত পারতেন না। তাই হরহামেশাই জসীমউদ্দীনের ভাগ্যে জুটত শুধু পান্তাভাত ও কাঁচামরিচ।

আমার এক অনুজ- আব্দুল্লাহ ওমর সাইফ আমাকে একদিন বললেন- পহেলা বৈশাখে ইলিশ-পান্তা না খেয়ে আমাদের আসলে খাওয়া উচিত ডাল সহযোগে পান্তা। কারণ দামের দিক দিয়ে ইলিশ এখন একটি মহার্ঘ্য বস্তু। তা ছাড়া ডাল আমাদের অনেকদিনের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ভোজ্য। যদিও নানা বিষয়ে ওর জ্ঞান ও পড়াশোনা আমাকে বিস্মিত করে কিন্তু খাবার-দাবারের প্রতি সাইফ বেশ খানিকটা উদাসীন বলে ওর এমন আলপটকা মন্তব্যে আমি খানিকটা চুপসে গেলাম। ডাল ব্যঞ্জনটি আমাদের নিজস্ব একটি ভোজ্য এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাতার, ফিরিঙ্গি ও মোগলরা ভারতবর্ষের বাইরে থেকে নানাবিধ ফল ও আনাজ আমদানি করলেও ডাল বস্তুটি বরং এ দেশ থেকেই তারা পৃথিবীর অন্যত্র জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। যদিও এখানে ডাল জন্মাত অতি প্রাচীনকাল থেকেই কিন্তু আমাদের কখনোই ডাল খাওয়ার অভ্যাস ছিল না। আমাদের ডাল খাওয়া শিখিয়েছে পর্তুগিজরা- সম্ভবত ১৫০০ সালের দিকে। পরবর্তীকালে ডাল ব্যঞ্জনটি আমাদের এতই ভালো লেগে গেল যে, ডালের মধ্যেও এলো নানা বৈচিত্র্য- মসুর ডাল, মুগ ডাল, মটর ডাল, ছোলার ডাল, বিউলীর ডাল, অড়হর ডাল, খেসারি প্রভৃতি ডাল এ দেশে এখন সর্বত্র বেশ উপাদেয় ব্যঞ্জন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এবার একটু ইলিশ মাছ সম্পর্কে বলি- এক কিলো ওজনের একটি ইলিশে কতগুলো কাঁটা থাকে বলতে পারেন? আমি বলছি- ১০ হাজার কাঁটা! তারপরও আমাদের অনেকের কাছে ইলিশ মাছ অনেকটা প্রসাদের মতো। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে ইলিশ মাছ খাওয়া। ইলিশ মাছ শুধু বাংলাদেশেরই জনপ্রিয় মাছ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লোকজনও সব সময় ইলিশের জন্য হাপিত্যেশ করে থাকে। ইলিশ মাছটি কিন্তু এমন কোনো মাছ নয়, যা শুধু পদ্মা কিংবা গঙ্গায় পাওয়া যায়। আমেরিকার পূর্ব উপকূলেও ইলিশ পাওয়া যায়। যেখানে এর নাম শ্যাড। ইরান-ইরাকে পর্যন্ত ইলিশের অস্তিত্ব আছে। সেখানে এর নাম সোউর কিংবা সোবুর, স্বাদ গন্ধ যাই হোক না কেন ইলিশকে প্রায় সর্বভারতীয় মাছই বলা চলে। কর্নাটকে ইলিশ মাছের নাম পালিয়া কিংবা পালাসা। গুজরাটে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাকে বলে পান্না। আর আমাদের প্রতিবেশী ব্রহ্মদেশে এই ইলিশ মাছের নামই ন-তা-লাউক্।

বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ যে কোনো মূল্যে পদ্মার ইলিশ এবং কলকাতার মানুষজন গঙ্গার ইলিশ খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু কেন? আমার মতে যে কোনো আহার্য বস্তু ও মাছের স্বাদের ব্যাপারে স্থানীয় জল-মাটির একটি প্রকট প্রভাব থাকে। নিজের মাটি ও জল থেকে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্যগুলো যে অমৃতসুধা হবে সেটাই ন্যায়সঙ্গত নয় কী? তবে আমি পাঠকদের একটি বিষয় জানিয়ে দেই, ব্যক্তিগতভাবে ইলিশপ্রেমী হওয়ায় আমি নিজে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছি যে, আমাদের এখানে পদ্মার ইলিশ হিসেবে যা প্রতিদিন বিক্রি হয় তাদের মধ্যে একাংশ আসলে মিয়ানমার থেকে আসা ইলিশ।

আমি এমন এক অবাঙালিকে চিনি, যিনি ইলিশ মাছ অসম্ভব পছন্দ করতেন। পাগলাটে সম্রাট মুহম্মদ বিন তুঘলক রোজার মাসে সারা দিন না খেয়ে সন্ধ্যায় ইলিশ খেয়েছিলেন বলে পেটের অসুখে মরেই গেলেন। অবশ্য বিখ্যাত লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে, ইলিশ খাওয়ার জন্য তুঘলক বেহেশতেই নাকি গিয়েছিলেন।

এবার বাংলা সনের প্রচলন নিয়ে দুই-চার কথা বলা যাক। আমরা কমবেশি সবাই জানি, বাংলা সনের প্রবর্তক হচ্ছেন সম্রাট আকবর। কারণ হিসেবে ইতিহাসবিদরা বলেন, খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসল থেকে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন সে জন্যই আকবর বাংলা সন নামে নতুন একটি বর্ষ পঞ্জিকার প্রবর্তন করেছিলেন। কিন্তু বিশিষ্ট গবেষক ও ইতিহাসবিদ গোলাম মুরশিদ, ডক্টর আহমদ শরীফ ও জয়নাল আবেদীন খান প্রমুখের মতে, বাংলা সনটি আসলে আকবর প্রবর্তন করেননি। বাংলা সনের উদ্ভাবক আসলে ছিলেন মহারাজা বল্লাল সেন (ওরফে নবাব আবুল কাশেম ওরফে শাহজাদা মঙ্গৎ রায় ওরফে শ্রী ধরমসা) যিনি ছিলেন আরাকানের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা মলহন ওরফে হুসেন শাহ (রাজত্বকাল ১৬১২-২২)-এর কনিষ্ঠ পুত্র। বল্লাল সেন ছিলেন ঢাকার নবাব এবং নিম্নবঙ্গের মোগল সুবেদার। ড. আহমদ শরীফের মতে সম্রাট আকবরের আমলে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে মোগলরা নামমাত্র বাংলার অধিকার লাভ করে। অধিকার লাভ করলেও আকবরের কোনো আগ্রহ ছিল না বাঙালির জীবন-জীবিকার প্রতি। অন্যভাবে বলা যায়, সম্রাট আকবর যদি সুবে বাংলার জন্য বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ প্রবর্তন করতেন তাহলে মোগল সাম্রাজ্যের বাকি সুবাগুলোতেও বঙ্গাব্দের মতো সমান্তরাল উড়িষ্যাব্দ, বিহারাব্দ, গুজরাটাব্দ ইত্যাদি থাকার কথা ছিল, তাই নয় কী?

আমাদের প্রধান ফসল আমন ধান কৃষকের ঘরে উঠে অগ্রহায়ণ মাসে। বৈশাখ মাসে নয়। আর সেই জন্য ফসল তুলে খাজনা পরিশোধের ব্যাপারটাও স্পষ্ট নয়। অধুনা ইতিহাসবিদরা মনে করেন সম্রাট আকবরই যদি বাংলা সনটি চালু করে থাকেন তবে দলিল-দস্তাবেজগুলোতেও নিশ্চয়ই এর প্রমাণপত্র থাকাটি ন্যায়সঙ্গত ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, দলিলপত্রে বাংলা সনের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতক থেকে।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বেড়েছে খেলাপি ঋণ
বেড়েছে খেলাপি ঋণ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
মূল্যবান সময়ে দোয়া করুন
মূল্যবান সময়ে দোয়া করুন
বিপর্যস্ত পরিবেশ : উত্তরণের উপায়
বিপর্যস্ত পরিবেশ : উত্তরণের উপায়
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
কোরআনে বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ
কোরআনে বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
সর্বশেষ খবর
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু

৭ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

এক দিনে এয়ার ইন্ডিয়ার ৬টি ড্রিমলাইনার ফ্লাইট বাতিল
এক দিনে এয়ার ইন্ডিয়ার ৬টি ড্রিমলাইনার ফ্লাইট বাতিল

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুরে কিশোরীর আত্মহত্যা
রংপুরে কিশোরীর আত্মহত্যা

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কর্মকর্তাদের ইন্টারনেটযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো ইরান
কর্মকর্তাদের ইন্টারনেটযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো ইরান

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিগ ব্যাশের ড্রাফটে বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার
বিগ ব্যাশের ড্রাফটে বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা ও চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সতর্কতা
ঢাকা ও চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সতর্কতা

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

সংকট এখনও কাটেনি: রিজভী
সংকট এখনও কাটেনি: রিজভী

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি: কারাগারে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব
পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি: কারাগারে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচনি ট্রেনে উঠতে রাজনৈতিক দল এখন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে : প্রিন্স
নির্বাচনি ট্রেনে উঠতে রাজনৈতিক দল এখন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিনাজপুরে নৃত্যের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
দিনাজপুরে নৃত্যের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ রাজমিস্ত্রীর লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ রাজমিস্ত্রীর লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় ১০ ঘুঘু পাখি অবমুক্ত
কলাপাড়ায় ১০ ঘুঘু পাখি অবমুক্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে মাদকসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
ফরিদপুরে মাদকসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান নিয়ে ট্রাম্পের সামনে যে তিনটি পথ খোলা
ইরান নিয়ে ট্রাম্পের সামনে যে তিনটি পথ খোলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা
সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে: কাতার
ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে: কাতার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন
ঢাবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কর্মদিবসে সড়কে সমাবেশ না করতে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধ
কর্মদিবসে সড়কে সমাবেশ না করতে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরান ছেড়ে আজারবাইজানে গেলেন ৬০০ বিদেশি নাগরিক
ইরান ছেড়ে আজারবাইজানে গেলেন ৬০০ বিদেশি নাগরিক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ‘সত্যিকার সমাপ্তি’ চান ট্রাম্প
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ‘সত্যিকার সমাপ্তি’ চান ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিগ ব্যাশের ড্রাফটে মুস্তাফিজ-রিশাদসহ বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার
বিগ ব্যাশের ড্রাফটে মুস্তাফিজ-রিশাদসহ বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাইবার হামলার শিকার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সেপাহ
সাইবার হামলার শিকার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সেপাহ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালীর কাছে দুই ট্যাংকারের সংঘর্ষ, আগুন
হরমুজ প্রণালীর কাছে দুই ট্যাংকারের সংঘর্ষ, আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তর পর মুশফিকেরও সেঞ্চুরি
শান্তর পর মুশফিকেরও সেঞ্চুরি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান
ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প
জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের গভীর পাহাড়ের নিচের যে পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে শঙ্কিত ইসরায়েল
ইরানের গভীর পাহাড়ের নিচের যে পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে শঙ্কিত ইসরায়েল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প
হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ‘ঘি ঢাললেন’ ট্রাম্প : চীন
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ‘ঘি ঢাললেন’ ট্রাম্প : চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পরমাণু অগ্রগতি নিয়ে ইসরায়েলের দাবি সত্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন
ইরানের পরমাণু অগ্রগতি নিয়ে ইসরায়েলের দাবি সত্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনা নাগরিকদের দ্রুত ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ
চীনা নাগরিকদের দ্রুত ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে: কাতার
ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে: কাতার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না, তবে হামলার জবাব দেব: পেজেশকিয়ান
যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না, তবে হামলার জবাব দেব: পেজেশকিয়ান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সাইরেন
ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সাইরেন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ, এবার সেই হেলপার গ্রেফতার
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ, এবার সেই হেলপার গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প : ম্যাক্রোঁ
ইরান ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প : ম্যাক্রোঁ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনিসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
এনিসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনির পরিণতি সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
খামেনির পরিণতি সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাইয়ে সপ্তাহে চার দিনের অফিস!
দুবাইয়ে সপ্তাহে চার দিনের অফিস!

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরান নিয়ে ট্রাম্পের সামনে যে তিনটি পথ খোলা
ইরান নিয়ে ট্রাম্পের সামনে যে তিনটি পথ খোলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘সংসদে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের’
‌‘সংসদে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনির ঘনিষ্ঠ ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
খামেনির ঘনিষ্ঠ ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোসাদের পরিকল্পনা কেন্দ্রে হামলা চালানোর দাবি আইআরজিসি’র
মোসাদের পরিকল্পনা কেন্দ্রে হামলা চালানোর দাবি আইআরজিসি’র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় ৩ জন নিহত
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় ৩ জন নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস
ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধের আইনে উদ্বেগ জাতিসংঘের
দল নিষিদ্ধের আইনে উদ্বেগ জাতিসংঘের

প্রথম পৃষ্ঠা

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান জনগণ চায় না
নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান জনগণ চায় না

নগর জীবন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে বারানোভস্কা
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে বারানোভস্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

ধারাবাহিকের সেই জৌলুস নেই কেন
ধারাবাহিকের সেই জৌলুস নেই কেন

শোবিজ

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা