শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫

পান্তা সাহেব হেস্টিংস ও বর্ষবরণ

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পান্তা সাহেব হেস্টিংস ও বর্ষবরণ

১৭৫৬ সাল। সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা আক্রমণ করলেন। কলকাতা আক্রমণের আগে তিনি কাশিমবাজার দখল করে নিয়েছিলেন মাঝপথেই। ইংরেজ সাহেবরা ভয় পেয়ে কাচুমাচু হয়ে নবাবের কাছে এসে ধরা দিল। বন্দী সাহেবদের হাতে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো মুর্শিদাবাদের গারদখানায়। সেই সাহেবদের মধ্যে বাংলার পরবর্তী গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসও ছিলেন। কাশিমবাজারের ওলন্দাজ কুঠির সর্বেসর্বা ছিলেন ভিনেট। সেই ভিনেট গিয়ে নবাবকে ধরাধরি করতে লাগলেন- 'হুজুর হেস্টিংসকে ছেড়ে দিন। সে কোম্পানির সামান্য একজন কর্মচারী মাত্র। তার ছোবলও নেই, বিষও নেই।' হেস্টিংসকে ছেড়ে দিলেন নবাব। হেস্টিংস সোজা চলে এলেন কাশিমবাজারে।

ওদিকে সিরাজের আক্রমণের ভয়ে কলকাতা কুঠির সাহেব-সুবোরা সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন ফলতায়। এ সময় হেস্টিংস করলেন কী- নবাবী শাসনের যা কিছু গোপন খবর সব জোগাড়যন্ত্র করে পাঠাতে লাগলেন ফলতায়। কথায় আছে, 'ইজ্জত যায় না মইলে খাসলত যায় না ধুইলে।' হেস্টিংসের হয়েছে তখন সেই অবস্থা। তার গোপনে খবর পাঠানোর এ ব্যাপারটা বেশিদিন গোপন রাখা গেল না। সিরাজ সিদ্ধান্ত নিলেন হেস্টিংসকে আবার জেলে পুরবেন। খবর পেয়েই হেস্টিংস কাশিমবাজার ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। এখনই কোথাও লুকিয়ে পড়া দরকার। হেস্টিংস ভাবতে লাগলেন, কোথায় যাওয়া যায়? কার কাছে যাওয়া যায়? ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে গেল কান্তবাবুর নাম। অন্ধকারে চুপি চুপি তিনি হাজির হলেন কান্তবাবুর দোকানে। সেখান থেকে তার বাড়িতে। কান্তবাবুর ভালো নাম কৃষ্ণকান্ত নন্দী। বাবা রাধাকৃষ্ণ নন্দী। আদি বাড়ি ছিল বর্ধমানের সিজনা গ্রামে। সেখান থেকে কান্তবাবু চলে এসেছিলেন কাশিমবাজারে। কেননা দেশজুড়ে কাশিমবাজারের তখন দারুণ নামডাক। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র তখন কাশিমবাজার। কাশিমবাজারে কান্তবাবুর ব্যবসা ছিল সুপুরি ও রেশমের। দোকানটা আবার ইংরেজদের কুঠি আর রেসিডেন্টের সঙ্গে একেবারে লাগোয়া। ফলে অচিরেই ইংরেজদের সঙ্গে বেশ একটা মাখামাখি ভাব হয়ে গেল কান্তবাবুর। ইংরেজদের সঙ্গে মেলামেশা থেকে কান্তবাবু নাকি প্রায় দুই হাজারের মতো ইংরেজি শব্দ আয়ত্ত করে ফেলেছিলেন। ব্যবসাপত্রের হিসাব-নিকাশে হাত ছিল পাকা, তাই একদিন চাকরিও পেয়ে গেলেন ইংরেজ কুঠিতে। মহুরীর চাকরি, সেটা ছিল ১৭৫৩ সাল। সামান্য একটা চাকরি নিয়ে তখন হেস্টিংসও কাশিমবাজারে এসে হাজির। সেই থেকে কান্তবাবুর সঙ্গে হেস্টিংসের চেনাজানা। যাই হোক, কান্তবাবু হেস্টিংসকে দেখে তো স্তম্ভিত! কোথায়? কিভাবে লুকিয়ে রাখবেন তিনি হেস্টিংসকে? কান্তবাবু প্রথম কয়েকদিন তাকে লুকিয়ে রাখলেন তার মুদি দোকানে। তারপর গোপনে হেস্টিংসকে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাড়িতে। দোকানে হাতের কাছে তেমন কিছু না পেয়ে কান্ত বাবু হেস্টিংসকে আপ্যায়ন করেছিলেন পান্তাভাত আর চিংড়ি মাছ দিয়ে। হেস্টিংসের পলায়নপর্বের খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। আর তখনই মানুষের মুখে মুখে জন্ম নিল এই ছড়া- বেচারা হেস্টিংসের এই পলায়নকে অমর করে রাখতে। হেস্টিংস সিরাজভয়ে হয়ে মহাভীত/কাশিমবাজারে গিয়া হন উপনীত।/কোন স্থানে গিয়া আজ লইব আশ্রয়/হেস্টিংসের মনে এই নিদারুণ ভয়।/কান্তমুদী ছিল তাঁর পূর্ব পরিচিত/ তাহারি দোকানে গিয়া হন উপনীত।/ মুস্কিলে পড়িয়া কান্ত করে হায় হায়/হেস্টিংসে কি খেতে দিয়া প্রাণ রাখা যায়?/ ঘরে ছিল পান্তাভাত আর চিংড়ি মাছ/ কাঁচা লঙ্কা, বড়ি পোড়া, কাছে কলাগাছ।/সূর্যোদয় হল আজি পশ্চিম গগনে/হেস্টিংস ডিনার খান কান্তের ভবনে। সেই পান্তাভাত আর চিংড়ি মাছ খাবার পর অনেকদিন পার হয়ে গেছে। হেস্টিংস যেদিন গভর্নর জেনারেল হলেন সামান্য কর্মচারী থেকে, সেদিনও তিনি ভোলেননি দুঃখের দিনের উপকারী বন্ধু কান্তবাবুকে। তাকে করে নিয়েছিলেন নিজের প্রিয়তম সাগরেদ। ক্রমেই কান্তবাবু হয়ে উঠেছিলেন হেস্টিংসেরই আরেকটি ছায়া।

ওয়ারেন হেস্টিংস না হয় বিপদে পড়ে পান্তা খেয়েছিলেন কিন্তু আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে পান্তা-ইলিশের চল কেন ও কীভাবে শুরু হলো তা একটি ভাবার বিষয়। ইলিশ-পান্তা খাওয়ার প্রচলন সম্ভবত শুরু ১৯৮২-'৮৩ সালের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্নভাবে পান্তা ও ইলিশ খাওয়ার ইতিহাস আমাদের সংস্কৃতিতে অতি প্রাচীন। রামায়ণে দেখা যায় যে, সীতা পোলাও রান্না করে রামকে খাওয়াচ্ছেন। ঠিক তেমনি সেই যুগের ঋষি-মুনিরা শুধু পোলাও কিংবা অষ্ট ব্যঞ্জন দিয়েই আহার করতেন না, পান্তাও খেতেন। তবে দুই, আড়াই হাজার বছর আগে যেহেতু কাঁচা লঙ্কাই ছিল না, সেহেতু পান্তা খাওয়া হতো চিংড়ি চচ্চড়ি, মৌরলা মাছের ঝোল অথবা বেগুন পোড়া দিয়ে। প্রাচীন যুগে মরিচের প্রচলন ছিল না বললাম এই অর্থে যে, আমাদের দেশে কাঁচা মরিচের আগমন ১৫০০ সালের দিকে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামার হাত ধরে। সম্রাট শাহজাহানের আমলে মরিচের প্রচলন ভারতের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগ পর্যন্ত ব্যঞ্জনগুলোতে ঝালের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হতো গোলমরিচ, পিপলু আর আদা। তবে বলে রাখা ভালো, মরিচের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ায়। সে দেশের আদিবাসীরা মরিচ খেয়ে আসছে আনুমানিক চার হাজার বছর ধরে। স্পেনীয়, পর্তুগিজ ও ইতালিয়ান নাবিকদের কল্যাণে এই মরিচ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে প্রথমে আসে ইউরোপে এবং পরবর্তীতে ভাস্কো-দা-গামার বদৌলতে চলে আসে আমাদের এই ভারতবর্ষে। ভাস্কো-দা-গামা আরও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন কামরাঙ্গা, আনারস, টমেটো প্রভৃতি ফল ও আনাজ।

পান্তাভাত বা পানি ঢালা ভাত খাওয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণত বাঙালির সাধারণ জীবনাচরণের সন্ধান ও অপচয়বিরোধী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে জ্বালানি বাঁচানোর বিষয়টি তো রয়েছেই। গ্রামের পাঠশালায় গমনকারী ছাত্র বা কৃষিজীবী মানুষের পান্তা খেয়ে কাজ শুরু করার প্রথা এই তো বেশকিছু দিন আগে পর্যন্তও আমি দেখেছি। একটি শিশু ছড়া আছে এমন- 'পান্তা খেয়ে শান্ত হয়ে কাপড় দিয়ে গায়/গরু চড়াতে পাঁচন হাতে রাখাল ছেলে যায়।'

আমার জন্ম ঢাকায় হলেও আমার নাড়িটি মনে হয় পোঁতা আছে আমার বাপ-দাদার ভিটেয়। শৈশব থেকে অদ্যাবধি গ্রামের সঙ্গে আমার সম্পর্কটি অত্যন্ত নিবিড়। আমার বাবা আমাকে সব সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন গ্রামে। ধান খেতের আলের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতাম দূর-বহুদূর অবধি। তখন দেখেছি গ্রামের অনেক দেহাতি কৃষক হয়তো অর্ধেক অর্ধকর্ষিত নাবাল জমির ওপর বসে গেছেন এক গামলা পান্তাভাত নিয়ে। সঙ্গে শুধু গোটাকয়েক পিয়াজ ও মরিচ। দু'একজনকে আবার দেখতাম শুধু প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ দিয়েই পান্তা খেতে। তাদের এই মরিচ খাওয়া দেখে আমি রীতিমতো অাঁতকে উঠতাম। জিজ্ঞাসা করতাম এত মরিচ তারা কেন খাচ্ছে? উত্তরে পাবনার আঞ্চলিক ভাষায় তারা বলতেন- 'এত মরিচ না খালি পরে চোইত মাসের এই রোদি গাও পুড়ি ছাই হয়য়া যাবিনি।' এই কথার অর্থ হলো- প্রচুর পরিমাণে মরিচ খেলে শরীরে রোদের অাঁচ কম অনুভূত হয়।

বাংলাদেশে আগের দিন রান্না করা ভাতে পানি ঢেলে পান্তা তৈরি করার বিশেষ রীতি আছে। বরিশাল জেলায় এই ভাতকে বলে 'পসুতি' ভাত। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় গরম ভাতে পানি ঢেলে রাখলে তাকে বলা হয় 'পোষ্টাই' ভাত। এই ভাত খেলে নাকি পেট ঠাণ্ডা হয়। দুর্গাপূজার দশমীর দিন সকালে দেবী দুর্গাকে পান্তাভাত আর কচুর শাক নিবেদন করে বাঙালি হিন্দুরা তাদের প্রিয় দেবীকে বিদায় জানায়। এর পেছনে অবশ্য মজার একটি মিথ চালু আছে- দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেয়েরা সাধারণত তাদের পিতার গৃহে আসেন। তিনদিন ধরে বাপের বাড়িতে নানা স্বাদু ব্যঞ্জন দিয়ে তারা খাবার খান বটে কিন্তু সেই তথ্য স্বামীর কাছে গোপন রাখার জন্যই দেবী বিদায়ের দিনে কচুর শাক দিয়ে পান্তা খান। অথচ স্বামীর কাছে গিয়ে বলেন, দরিদ্র পিতা তার কন্যাকে এর চেয়ে বেশি কিছু আহার করাতে পারেননি। যাতে করে এই কথা শুনে তার স্বামী সারা বছর তাকে ভালো-মন্দ খাওয়ান। বড় বড় সাহিত্যিকদেরও দেখি আমোদ-আহ্লাদ করে কিংবা কখনো অভাবে পড়ে পান্তা খেতে। রবীন্দ্রনাথও পান্তা খেতে পছন্দ করতেন, বিশেষ করে তার নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবীর হাতের পান্তাভাত ও সঙ্গে চিংড়ি মাছের চচ্চড়ি। এ জন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনস্মৃতি গ্রন্থে লিখেছেন- 'ইসকুল থেকে ফিরে এলেই রবির জন্য থাকে নতুন বউঠানের আপন হাতের প্রসাদ। আর যেদিন চিংড়ি মাছের চচ্চড়ির সঙ্গে নতুন বউঠান নিজে মেখে দেয় পান্তাভাত, অল্প একটু লঙ্কার আভাস দিয়ে সেদিন আর কথা থাকে না।' কবি রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্যেও টেনে এনেছেন পান্তাভাতের বিষয়টি। বিশেষ করে তার 'রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা' গল্পে আমরা দেখি পান্তাভাত খাওয়ার বর্ণনা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিংবা আমাদের পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ছাত্রাবস্থায়, তাদের পান্তা খেতে হয়েছে অভাব-অনটনের কারণে। কবি জসীমউদ্দীন ফরিদপুর থেকে পালিয়ে যখন কলকাতায় যান কবিযশ খ্যাতি পেতে, তখন সেখানে তিনি উঠেছিলেন তার এক দূর-সম্পর্কের বোনের ওখানে। তার ওই বোনটি এত অভাব-অনটনের মধ্যে ছিলেন যে, জসীমউদ্দীনকে তিনি দুবেলা ভালো করে খাওয়াতে পর্যন্ত পারতেন না। তাই হরহামেশাই জসীমউদ্দীনের ভাগ্যে জুটত শুধু পান্তাভাত ও কাঁচামরিচ।

আমার এক অনুজ- আব্দুল্লাহ ওমর সাইফ আমাকে একদিন বললেন- পহেলা বৈশাখে ইলিশ-পান্তা না খেয়ে আমাদের আসলে খাওয়া উচিত ডাল সহযোগে পান্তা। কারণ দামের দিক দিয়ে ইলিশ এখন একটি মহার্ঘ্য বস্তু। তা ছাড়া ডাল আমাদের অনেকদিনের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ভোজ্য। যদিও নানা বিষয়ে ওর জ্ঞান ও পড়াশোনা আমাকে বিস্মিত করে কিন্তু খাবার-দাবারের প্রতি সাইফ বেশ খানিকটা উদাসীন বলে ওর এমন আলপটকা মন্তব্যে আমি খানিকটা চুপসে গেলাম। ডাল ব্যঞ্জনটি আমাদের নিজস্ব একটি ভোজ্য এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাতার, ফিরিঙ্গি ও মোগলরা ভারতবর্ষের বাইরে থেকে নানাবিধ ফল ও আনাজ আমদানি করলেও ডাল বস্তুটি বরং এ দেশ থেকেই তারা পৃথিবীর অন্যত্র জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। যদিও এখানে ডাল জন্মাত অতি প্রাচীনকাল থেকেই কিন্তু আমাদের কখনোই ডাল খাওয়ার অভ্যাস ছিল না। আমাদের ডাল খাওয়া শিখিয়েছে পর্তুগিজরা- সম্ভবত ১৫০০ সালের দিকে। পরবর্তীকালে ডাল ব্যঞ্জনটি আমাদের এতই ভালো লেগে গেল যে, ডালের মধ্যেও এলো নানা বৈচিত্র্য- মসুর ডাল, মুগ ডাল, মটর ডাল, ছোলার ডাল, বিউলীর ডাল, অড়হর ডাল, খেসারি প্রভৃতি ডাল এ দেশে এখন সর্বত্র বেশ উপাদেয় ব্যঞ্জন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এবার একটু ইলিশ মাছ সম্পর্কে বলি- এক কিলো ওজনের একটি ইলিশে কতগুলো কাঁটা থাকে বলতে পারেন? আমি বলছি- ১০ হাজার কাঁটা! তারপরও আমাদের অনেকের কাছে ইলিশ মাছ অনেকটা প্রসাদের মতো। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে ইলিশ মাছ খাওয়া। ইলিশ মাছ শুধু বাংলাদেশেরই জনপ্রিয় মাছ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লোকজনও সব সময় ইলিশের জন্য হাপিত্যেশ করে থাকে। ইলিশ মাছটি কিন্তু এমন কোনো মাছ নয়, যা শুধু পদ্মা কিংবা গঙ্গায় পাওয়া যায়। আমেরিকার পূর্ব উপকূলেও ইলিশ পাওয়া যায়। যেখানে এর নাম শ্যাড। ইরান-ইরাকে পর্যন্ত ইলিশের অস্তিত্ব আছে। সেখানে এর নাম সোউর কিংবা সোবুর, স্বাদ গন্ধ যাই হোক না কেন ইলিশকে প্রায় সর্বভারতীয় মাছই বলা চলে। কর্নাটকে ইলিশ মাছের নাম পালিয়া কিংবা পালাসা। গুজরাটে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাকে বলে পান্না। আর আমাদের প্রতিবেশী ব্রহ্মদেশে এই ইলিশ মাছের নামই ন-তা-লাউক্।

বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ যে কোনো মূল্যে পদ্মার ইলিশ এবং কলকাতার মানুষজন গঙ্গার ইলিশ খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু কেন? আমার মতে যে কোনো আহার্য বস্তু ও মাছের স্বাদের ব্যাপারে স্থানীয় জল-মাটির একটি প্রকট প্রভাব থাকে। নিজের মাটি ও জল থেকে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্যগুলো যে অমৃতসুধা হবে সেটাই ন্যায়সঙ্গত নয় কী? তবে আমি পাঠকদের একটি বিষয় জানিয়ে দেই, ব্যক্তিগতভাবে ইলিশপ্রেমী হওয়ায় আমি নিজে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছি যে, আমাদের এখানে পদ্মার ইলিশ হিসেবে যা প্রতিদিন বিক্রি হয় তাদের মধ্যে একাংশ আসলে মিয়ানমার থেকে আসা ইলিশ।

আমি এমন এক অবাঙালিকে চিনি, যিনি ইলিশ মাছ অসম্ভব পছন্দ করতেন। পাগলাটে সম্রাট মুহম্মদ বিন তুঘলক রোজার মাসে সারা দিন না খেয়ে সন্ধ্যায় ইলিশ খেয়েছিলেন বলে পেটের অসুখে মরেই গেলেন। অবশ্য বিখ্যাত লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে, ইলিশ খাওয়ার জন্য তুঘলক বেহেশতেই নাকি গিয়েছিলেন।

এবার বাংলা সনের প্রচলন নিয়ে দুই-চার কথা বলা যাক। আমরা কমবেশি সবাই জানি, বাংলা সনের প্রবর্তক হচ্ছেন সম্রাট আকবর। কারণ হিসেবে ইতিহাসবিদরা বলেন, খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসল থেকে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন সে জন্যই আকবর বাংলা সন নামে নতুন একটি বর্ষ পঞ্জিকার প্রবর্তন করেছিলেন। কিন্তু বিশিষ্ট গবেষক ও ইতিহাসবিদ গোলাম মুরশিদ, ডক্টর আহমদ শরীফ ও জয়নাল আবেদীন খান প্রমুখের মতে, বাংলা সনটি আসলে আকবর প্রবর্তন করেননি। বাংলা সনের উদ্ভাবক আসলে ছিলেন মহারাজা বল্লাল সেন (ওরফে নবাব আবুল কাশেম ওরফে শাহজাদা মঙ্গৎ রায় ওরফে শ্রী ধরমসা) যিনি ছিলেন আরাকানের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা মলহন ওরফে হুসেন শাহ (রাজত্বকাল ১৬১২-২২)-এর কনিষ্ঠ পুত্র। বল্লাল সেন ছিলেন ঢাকার নবাব এবং নিম্নবঙ্গের মোগল সুবেদার। ড. আহমদ শরীফের মতে সম্রাট আকবরের আমলে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে মোগলরা নামমাত্র বাংলার অধিকার লাভ করে। অধিকার লাভ করলেও আকবরের কোনো আগ্রহ ছিল না বাঙালির জীবন-জীবিকার প্রতি। অন্যভাবে বলা যায়, সম্রাট আকবর যদি সুবে বাংলার জন্য বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ প্রবর্তন করতেন তাহলে মোগল সাম্রাজ্যের বাকি সুবাগুলোতেও বঙ্গাব্দের মতো সমান্তরাল উড়িষ্যাব্দ, বিহারাব্দ, গুজরাটাব্দ ইত্যাদি থাকার কথা ছিল, তাই নয় কী?

আমাদের প্রধান ফসল আমন ধান কৃষকের ঘরে উঠে অগ্রহায়ণ মাসে। বৈশাখ মাসে নয়। আর সেই জন্য ফসল তুলে খাজনা পরিশোধের ব্যাপারটাও স্পষ্ট নয়। অধুনা ইতিহাসবিদরা মনে করেন সম্রাট আকবরই যদি বাংলা সনটি চালু করে থাকেন তবে দলিল-দস্তাবেজগুলোতেও নিশ্চয়ই এর প্রমাণপত্র থাকাটি ন্যায়সঙ্গত ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, দলিলপত্রে বাংলা সনের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতক থেকে।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
অবৈধ অস্ত্রের দাপট
অবৈধ অস্ত্রের দাপট
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন
ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজ সংস্কার
ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজ সংস্কার
সিন্দাবাদের দৈত্য দেশের ঘাড়ে
সিন্দাবাদের দৈত্য দেশের ঘাড়ে
ক্যানসার চিকিৎসা
ক্যানসার চিকিৎসা
ভালো নেই অর্থনীতি
ভালো নেই অর্থনীতি
যে রত্ন কুড়িয়ে পেলাম
যে রত্ন কুড়িয়ে পেলাম
প্রকৃত সুখ ও সুখী মানুষ
প্রকৃত সুখ ও সুখী মানুষ
আপনা মাঝে শক্তি ধর
আপনা মাঝে শক্তি ধর
স্কুলের আঁক আর জীবনের বাঁক
স্কুলের আঁক আর জীবনের বাঁক
সালাতুল হাজত আদায়ে প্রয়োজন মিটবে
সালাতুল হাজত আদায়ে প্রয়োজন মিটবে
থার্ড টার্মিনাল
থার্ড টার্মিনাল
সর্বশেষ খবর
৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গৃহবধূকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করায় দম্পতি-সহ তিনজনের ৮ বছরের কারাদণ্ড
গৃহবধূকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করায় দম্পতি-সহ তিনজনের ৮ বছরের কারাদণ্ড

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র
নির্বাচন ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফুলবাড়ীতে চুরির ঘটনা বেড়ে আতঙ্কে গ্রামবাসী
ফুলবাড়ীতে চুরির ঘটনা বেড়ে আতঙ্কে গ্রামবাসী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ আগস্ট)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রামুতে বজ্রপাতে দিনমজুর নিহত
রামুতে বজ্রপাতে দিনমজুর নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নড়াইলে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নড়াইলে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিকিৎসা দিচ্ছে বন বিভাগ, সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বন্যহাতি মারাত্মক আহত
চিকিৎসা দিচ্ছে বন বিভাগ, সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বন্যহাতি মারাত্মক আহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কসোভোতে জুলাইয়ের তাপপ্রবাহে ভাঙল ৩৮ বছরের রেকর্ড
কসোভোতে জুলাইয়ের তাপপ্রবাহে ভাঙল ৩৮ বছরের রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে শাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে শাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে নদীর পানি ফের বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে নদীর পানি ফের বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেনীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ পালিত
ফেনীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টিতে কোহলিকে টপকে গেলেন ওয়ার্নার
টি-টোয়েন্টিতে কোহলিকে টপকে গেলেন ওয়ার্নার

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা: গ্রেফতার ১৮
মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা: গ্রেফতার ১৮

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে রাজনীতি থেকে তারা হারিয়ে যাবে: টুকু
ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে রাজনীতি থেকে তারা হারিয়ে যাবে: টুকু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ সরঞ্জাম স্থাপন, ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৪
ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ সরঞ্জাম স্থাপন, ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৪

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উদ্যোক্তা সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে : মেয়র শাহাদাত
উদ্যোক্তা সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে : মেয়র শাহাদাত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সকল ষড়যন্ত্র রুখতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : টিপু
সকল ষড়যন্ত্র রুখতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : টিপু

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে অর্থনীতি মজবুত অবস্থায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে’
‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে অর্থনীতি মজবুত অবস্থায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবিতে ‘কোনটাকে বলি সংবাদ?’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
গোবিপ্রবিতে ‘কোনটাকে বলি সংবাদ?’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ধরলায় ভেসে আসা ভারতীয় শিশুর মরদেহ হস্তান্তর
ধরলায় ভেসে আসা ভারতীয় শিশুর মরদেহ হস্তান্তর

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিপর্যস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও বেসরকারি খাতে আস্থার সংকট রয়েছে : অর্থ উপদেষ্টা
বিপর্যস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও বেসরকারি খাতে আস্থার সংকট রয়েছে : অর্থ উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ, কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল?
গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ, কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইএল টি-টোয়েন্টি: দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজ
আইএল টি-টোয়েন্টি: দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র এনেছে সৌদির জাহাজ?
সত্যিই কি ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র এনেছে সৌদির জাহাজ?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকির জবাবে কী বলছে ভারত
পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকির জবাবে কী বলছে ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংকে টাকা তুলতে হয়রানি
ব্যাংকে টাকা তুলতে হয়রানি

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুর সিএমএম কোর্টে মামলা দায়ের
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুর সিএমএম কোর্টে মামলা দায়ের

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের শুল্কারোপ : চীন-ভারত থেকে পোশাকের আরও ক্রেতা আসছে বাংলাদেশে
ট্রাম্পের শুল্কারোপ : চীন-ভারত থেকে পোশাকের আরও ক্রেতা আসছে বাংলাদেশে

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সাত জরুরি নির্দেশনা
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সাত জরুরি নির্দেশনা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় স্বাক্ষর
মালয়েশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় স্বাক্ষর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘গাজায় ইসরায়েলিদের ভয়াবহতার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই’
‘গাজায় ইসরায়েলিদের ভয়াবহতার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপনে ২২শ’ কোটি টাকার নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার
গোপনে ২২শ’ কোটি টাকার নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরব আমিরাত ক্লাউড সিডিংয়ে সাফল্য পাচ্ছে, বাড়ছে বৃষ্টিপাত
আরব আমিরাত ক্লাউড সিডিংয়ে সাফল্য পাচ্ছে, বাড়ছে বৃষ্টিপাত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি বিয়ে করতে চলেছেন রোনালদো? জর্জিনার নতুন পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
সত্যিই কি বিয়ে করতে চলেছেন রোনালদো? জর্জিনার নতুন পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৫ আগস্ট ঘিরে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার, টুঙ্গিপাড়ায় আলাদা ব্যবস্থা
১৫ আগস্ট ঘিরে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার, টুঙ্গিপাড়ায় আলাদা ব্যবস্থা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভয়ে পালাচ্ছে বাঙালি শ্রমিকরা, দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামে গৃহকর্মীর তীব্র সংকট!
ভয়ে পালাচ্ছে বাঙালি শ্রমিকরা, দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামে গৃহকর্মীর তীব্র সংকট!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্যাপ সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত, অনুমোদনের জন্য যাবে উপদেষ্টা পরিষদে
ড্যাপ সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত, অনুমোদনের জন্য যাবে উপদেষ্টা পরিষদে

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দাম নিয়ন্ত্রণে পিঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করা হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
দাম নিয়ন্ত্রণে পিঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করা হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডাকসুর একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানম আর নেই
ডাকসুর একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানম আর নেই

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে রাশিয়ার সহায়তা চাইছে সিরিয়া
ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে রাশিয়ার সহায়তা চাইছে সিরিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলুচ আর্মিকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিল যুক্তরাষ্ট্র
বেলুচ আর্মিকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিল যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে এখনও ষড়যন্ত্র চলমান : রিজভী
নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে এখনও ষড়যন্ত্র চলমান : রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১৮
আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১৮

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরবেন জামায়াত আমির
হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরবেন জামায়াত আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৯৩৫ কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হবে দুই জাহাজ
৯৩৫ কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হবে দুই জাহাজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাইকোর্টে প্রবেশের মুখে ইয়াবা, মদ ও হেরোইনসহ আটক ১
হাইকোর্টে প্রবেশের মুখে ইয়াবা, মদ ও হেরোইনসহ আটক ১

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস
যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস

১৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খোলা পাম অয়েলের দাম কমাল সরকার
খোলা পাম অয়েলের দাম কমাল সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ আগস্ট)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুয়েতের অন অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পূরণ করতে হবে যে শর্ত
কুয়েতের অন অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পূরণ করতে হবে যে শর্ত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিমানবন্দর থেকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

সাদাপাথর কেলেঙ্কারি
সাদাপাথর কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন প্রত্যাশীই হেভিওয়েট একক প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর
বিএনপির তিন প্রত্যাশীই হেভিওয়েট একক প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজকাপুরকে সত্যিই ভালোবাসতেন লতা!
রাজকাপুরকে সত্যিই ভালোবাসতেন লতা!

শোবিজ

শাবানার বাহারি রান্নার অজানা গল্প
শাবানার বাহারি রান্নার অজানা গল্প

শোবিজ

দুর্নীতি করে ম্যাক্স-তমা ধামাচাপা দেন মির্জা
দুর্নীতি করে ম্যাক্স-তমা ধামাচাপা দেন মির্জা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন পেছানোর অজুহাত কিছু দলের
নির্বাচন পেছানোর অজুহাত কিছু দলের

প্রথম পৃষ্ঠা

খায়রুলের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ হাই কোর্টে
খায়রুলের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ হাই কোর্টে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুচিত্রা সেনের সেই পছন্দের ‘চা’
সুচিত্রা সেনের সেই পছন্দের ‘চা’

শোবিজ

অঝোরে কাঁদলেন মোস্তাকিমের বাবা চাইলেন বিচার
অঝোরে কাঁদলেন মোস্তাকিমের বাবা চাইলেন বিচার

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে ছাড় নয় উপদেষ্টাদের
দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে ছাড় নয় উপদেষ্টাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

গাড়িতে দুই লাশ এখনো রহস্যে
গাড়িতে দুই লাশ এখনো রহস্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

হেমিংয়ের মাসিক বেতন ১০ লাখ টাকা
হেমিংয়ের মাসিক বেতন ১০ লাখ টাকা

মাঠে ময়দানে

পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে
পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

কনিষ্ঠ প্রোটিয়া সেঞ্চুরিয়ান ব্রেভিস
কনিষ্ঠ প্রোটিয়া সেঞ্চুরিয়ান ব্রেভিস

মাঠে ময়দানে

এবার যুবাদের সফর ইংল্যান্ডে
এবার যুবাদের সফর ইংল্যান্ডে

মাঠে ময়দানে

পাথর রক্ষায় পরিবেশ উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন
পাথর রক্ষায় পরিবেশ উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন

নগর জীবন

নতুন মুরাসে হার পুরোনো আবাহনীর
নতুন মুরাসে হার পুরোনো আবাহনীর

মাঠে ময়দানে

পেশাদার ফুটবলে এ কেমন মানসিকতা!
পেশাদার ফুটবলে এ কেমন মানসিকতা!

মাঠে ময়দানে

১২ দেশের লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ
১২ দেশের লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

বেসরকারি খাতে এখনো আস্থার সংকট
বেসরকারি খাতে এখনো আস্থার সংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬ ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে জাতীয় মৎস্য পদক
১৬ ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে জাতীয় মৎস্য পদক

নগর জীবন

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে
একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে

নগর জীবন

বাকি না দেওয়ায় দোকানির কানে কামড়!
বাকি না দেওয়ায় দোকানির কানে কামড়!

দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পরিশ্রমী’
‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পরিশ্রমী’

মাঠে ময়দানে

এএফসি কাপে কিংসের প্রথম হ্যাটট্রিক বার্কোসের
এএফসি কাপে কিংসের প্রথম হ্যাটট্রিক বার্কোসের

মাঠে ময়দানে

গোপনে কেনা হয় ২২০০ কোটি টাকার নজরদারি সরঞ্জাম
গোপনে কেনা হয় ২২০০ কোটি টাকার নজরদারি সরঞ্জাম

প্রথম পৃষ্ঠা