বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভেষজ

প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ নির্ণয়

ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয় নিম্নোক্ত উপসর্গ ও লক্ষণের ভিত্তিতে : বারবার পানির পিপাসা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, শরীর দুর্বল লাগা, ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, সকালের প্রথম প্রস্রাব একটি স্বচ্ছ পাত্রে রেখে রোদে দিলে যদি চার ঘণ্টার মধ্যে তলানি (প্রায় ৭০ ভাগ) জমে, তবে বুঝতে হবে এটি ডায়াবেটিস ইনসিপিডাসের  লক্ষণ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে— তেলাকুচা, তুলসী, করলা, জারুল, মেথি, মেহগনি, নয়নতারা, ডুমুর, জামবীজ ইত্যাদি অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যত ফলপ্রদ।

জন্ডিস : আসলে জন্ডিস কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। এ রোগে রক্তে মোট বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। জন্ডিসের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়— শরীর ফ্যাকাসে হলুদ হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া, শরীর খুব কান্ত লাগা, চোখের রং হলদে ভাব হয়ে যাওয়া, চর্বিজাতীয় বা গুরুপাক জাতীয় (বিরানি, কাবাব, কোর্মা, টিকিয়া, ফাস্টফুড ইত্যাদি) খাবার খাওয়ার পর পেট ব্যথা এবং হজম না হওয়া, জিহ্বার রং হলুদাভ হয়ে যাওয়া, খাবারে অরুচি দেখা দেওয়া এসব উপসর্গ থাকলে রোগীকে প্রচুর পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। এ ছাড়া ভূঁই আমলা, অর্জুন ছালের গুঁড়া, কালোমেঘ ও ঘৃতকুমারীর রস সকাল-বিকাল খেলে জন্ডিস নিরাময় হয়। পেঁপে, কলা, স্যুপ, বিভিন্ন ফলের জুস এবং দই জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী।

হৃদরোগ : স্থূলতা, হাইপারটেনশন, হাইপার কলেস্টেরলেমিয়া, ডায়াবেটিস, জন্মগত বা বংশগত ত্রুটি ইত্যাদি কারণে হৃদরোগ হয়ে থাকে। হৃদরোগের উপসর্গগুলো হলো— বুকে ব্যথা (মনে হবে কেউ সুচালো সুই দিয়ে হৃৎপিণ্ডে খোঁচা দিচ্ছে), নাড়ির গতি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা, শরীরের রং ধূসর বা নীলাভ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক হৃত্স্পন্দন।

     —ডা. আলমগীর মতি

সর্বশেষ খবর