শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

লজ্জাজনক প্রত্যাবর্তন

এশিয়ান গেমসে শূন্য হাতে ফেরা দুর্ভাগ্যজনক

ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস থেকে বাংলাদেশ এবার ফিরছে কোনো পদক ছাড়াই। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে পিছিয়ে পড়া দেশ। এক বা দুই লাখ জনসংখ্যার অনেক দেশ যেখানে অলিম্পিক বা বড়মাপের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সোনার পদক বয়ে আনছে, বাংলাদেশের কাছে তা এখনো দিবাস্বপ্নের মতো। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে ১৯৭৮ সাল থেকে। প্রথম দুই আসরে শূন্য হাতে ফিরলেও ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিটি এশিয়ান গেমসে কোনো না কোনো পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালে সিউল গেমসে লাইট হেভিওয়েটে তামা জিতেছিলেন মোশাররফ হোসেন। তার দেখানো পথ ধরে একে একে আরও ১১টি পদক জিতে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১০ সালে ক্রিকেটে সোনা জয়ের ঘটনাটিও রয়েছে। এশিয়ান গেমসে অর্জিত পদকগুলোর বেশিরভাগই এসেছে কাবাডি থেকে। এই ইভেন্টে ৭টি পদক জিতেছে বাংলাদেশের ছেলে ও মেয়েরা। ক্রিকেট থেকে পদক এসেছে চারটি। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত প্রতি গেমসেই একটি করে পদক জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১০ ও ২০১৪ সালে তিনটি করে পদক জিতেছে লাল সবুজের পতাকাবাহীরা। পদক জয়ের এই ধারাবাহিকতা এ বছর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা। এবার ১৪টি ইভেন্টে ১১৭ জন অ্যাথলেট নিয়েও শূন্য হাতে ফিরতে হলো বাংলাদেশকে। এবারের এশিয়ান গেমসে ৪৫টি দেশের ১১ হাজার ৭২০ অ্যাথলেট অংশ নিয়েছে ৪০টি ডিসিপিস্ননের ৪৬৫টি ইভেন্টে। ৪৫টি দেশের মধ্যে ৩৭টি দেশই কোনো না কোনো ইভেন্টে পদক জয় করেছে। শূন্য হাতে যে আটটি দেশ এশিয়ান গেমস থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডিতেও তারা ব্যর্থতার লজ্জায় মুখ ঢেকেছে। ২০১৪ সাল থেকে এশিয়ান গেমসে ঠাঁই পায়নি ক্রিকেট। এক্ষেত্রে পদক পাওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল তা আমরা হারিয়েছি এ ইভেন্টটি না থাকার কারণে। দেশ যখন সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ অবস্থা দুর্ভাগ্যজনক। বিশেষত জাতীয় খেলা কাবাডিতে শূন্য হাতে ফেরা মেনে নেওয়া কঠিন। গ্রাম বাংলায় কাবাডি এখনো জনপ্রিয়। শহরেও এটি জনপ্রিয় করার সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এশিয়ান গেমস থেকে লজ্জা নিয়ে ফিরতে না হয় তা নিশ্চিত করতে কাবাডিসহ যেসব ইভেন্টে দেশের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর