বুধবার, ১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিএনপি সদস্যদের শপথ

সংসদীয় রাজনীতির জন্য সুখবর

সংসদ ও রাজপথে যুগপৎভাবে সংগ্রাম চালানোর লক্ষ্য নিয়ে অবশেষে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিএনপির চার সদস্য। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অচিরেই শপথ নেবেন বলে আভাস দেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অংশ নেয় বিএনপি। ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরাম থেকে দুজন ও বিএনপি থেকে ছয়জন নির্বাচিত হন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে। ৩০০ আসনের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্টের মাত্র আটটি আসন লাভের কঠিন বাস্তবতা মেনে নিতে পারেননি তারা। কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে ঐক্যফ্রন্ট। তবে ঐক্যফ্রন্টের গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুজন সদস্য ফ্রন্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। বিএনপির একজন সংসদ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে শপথ নিলে দলটির জন্য আম ও ছালা হারানোর বিপদ সৃষ্টি হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় জাতীয় সংসদ পরিপূর্ণতা পেল। একাদশ সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে সংকটে ছিল সরকারি দল তার অনেকটাই কেটে গেল। আশা করা হচ্ছে সংখ্যায় অল্প হলেও বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের সদস্যরা সংসদে সত্যিকারের বিরোধী পক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে নাÑ এমন ঘোষণা দিয়ে। নির্বাচন বানচালের জন্য তারা তাদের জোটসঙ্গী জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আগুনসন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়; যা জনগণের কাছে দলটির গ্রহণযোগ্যতায় চিড় ধরায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অংশ নিলেও প্রস্তুতিহীন সেই নির্বাচনে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপি সুবিধা করতে পারেনি। সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সংসদীয় রাজনীতির অপরিহার্য অংশে পরিণত করবেÑ আমরা এমনটিই দেখতে চাই। সংসদীয় রাজনীতির জন্য সুখবর হিসেবে বিবেচিত সময়োচিত সিদ্ধান্তের জন্য তাদের অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর