শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২০ আপডেট:

করোনার বিপদ, কেয়ামত ও বেহেশতের ভাবনা

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
করোনার বিপদ, কেয়ামত ও বেহেশতের ভাবনা

করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে ইতিমধ্যে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং প্রতিদিন মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিত হারে বেড়ে চলায় করোনাভাইরাসজনিত মহামারী বিশ্বজুড়ে মানুষের মনে অভাবনীয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে দেশে দেশে সরকারগুলো কর্মব্যস্ত নগরী, শহর-বন্দরে লকডাউন ঘোষণা করায় বিশ্বের বড় বড় নগরী এখন দিন ও  রাতের বেলায় প্রেতপুরীতে পরিণত হয়েছে। এ বিপদ শুধু মৃত্যুর বিপদ নয়। বিশ্ববাসীর ওপর স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব পড়ার, বিশ্ব অর্থনীতি ধসে পড়ার, দরিদ্র দেশগুলোর আরও দরিদ্র হওয়ার, নজিরবিহীন বেকারত্বের কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করার মহাবিপদ ডেকে এনেছে এ ঘাতক ভাইরাস। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিবারিক ও সামাজিক সূত্রগুলোকেও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ভাইরাস সংক্রমিত রোগী দেখলে এমনকি পরিবারের লোকজন পর্যন্ত তাকে এড়িয়ে চলে, সবার জন্য বিপদের সমূহ কারণ বিবেচনা করে। অনেক খবর পাঠ করেছি, ইতালি প্রবাসী স্বামী দেশে আসবে খবর পেয়ে স্ত্রী ভেগে গেছে। স্বামীর গায়ে জ্বর দেখে স্ত্রী স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কবরস্থানে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের কবর না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। করোনায় মৃতের জানাজায় আত্মীয়রাও হাজির হন না। দাফনে তো নয়ই। এমন বহু ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক সংকট নিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। স্বাভাবিক মৃত্যুর প্রক্রিয়া মন্থর, যা একজন মানুষকে টেনে টেনে ১০০ বছর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জন্মগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে এমন বহু জীবিত লোককে এখনো পাওয়া যায়। যতদিন মানুষ বেঁচে থাকে ততদিন মৃত্যুর প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে। এবং এ প্রক্রিয়ায় প্রত্যেকে চায় সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে এবং স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে। অস্বাভাবিক মৃত্যু কেউ কামনা করে না, কারণ অস্বাভাবিক মৃত্যু তা যদি আত্মহত্যার মতো কিছু হয়, তাহলে একজন বিশ্বাসী মানুষ, তিনি যে ধর্মেই বিশ্বাস করুন না কেন তার পারলৌকিক জীবনের সুখ হারানোর ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণে মৃত্যু জীবিতদের সব হিসাব-নিকাশ, বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে জাগতিক ও পারলৌকিক বিভ্রমের বিষয়ে পরিণত করেছে।

অবশ্য একজন বিশ্বাসী হিসেবে এ পরিস্থিতি আমার কাছে নতুন বা বিচিত্র কিছু মনে হয়নি। এটা সত্য যে, এভাবে কেউ মরতে চায় না, আপনজন, আত্মীয়-বন্ধুবান্ধবের মৃত্যুপথযাত্রীর কাছে পর্যন্ত যেতে পারবে না, মৃত্যুর পর স্বজনরা শেষবারের মতো তাদের প্রিয়জনের মুখ দর্শন করতে পারবে না, যার যার ধর্মীয় বিধি অনুসরণে মৃতের অন্তিম ক্রিয়াকর্ম হবে না, মৃতের আত্মার সদগতির জন্য সম্মিলিতভাবে প্রার্থনা করা হবে না- কী করে তা হতে পারে! কিন্তু এমন একটি পরিস্থিতি এই ক্ষুদ্র জীবনেও দেখতে হচ্ছে। নিজ ধর্ম সম্পর্কে আমি তেমন বিদ্বান নই, ধর্মের আবশ্যিক কর্তব্যগুলোও যথাবিহিত পালন করা হয় না, তা  আলস্যবশত বা ইচ্ছার অভাবের কারণে হোক না কেন। সেজন্য আল্লাহ ক্ষমা করবেন বলেই আশা করি এবং তার উদারতার গুণ পাঠ করেই অনেক সময় ধৃষ্টতা পেয়ে বসে। তা সত্ত্বেও আমি আমার বিশ্বাসের অটলতা থেকেই লিখছি যে, অনেক সময় আল্লাহ পৃথিবীতেই কেয়ামতে আলামতসমূহ প্রদর্শন করেন, যাতে মানুষ সতর্ক হয়। রসুল (সা.) এর হাদিসেও এসবের উল্লেখ রয়েছে।

কোরআনের বর্ণনা অনুসারে কেয়ামতের ময়দানে কেউ কারও হবে না। ‘সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা, নিজের স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে, সে নিজেকে ছাড়া আর কারও প্রতি লক্ষ্য করার মতো অবস্থা থাকবে না’, (সূরা : আবাসা, ৩৪-৩৭)।

একটি হাদিসে রয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তি হাশরের মাঠে ভয়ে বলতে থাকবে ‘আমাকে বাঁচান’, ‘আমাকে বাঁচান’। একমাত্র মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মত নিয়ে চিন্তা করবেন।’ (বুখারি)।

আয়েশা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন এভাবে যে, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন মানুষকে খালি পায়ে বস্ত্রহীন ও খতনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে।’ আয়েশা জানতে চান, ‘হে রসুল! নারী-পুরুষ সবাই কি একজন অন্যজনের লজ্জাস্থান দেখতে থাকবে?’ তখন তিনি বলেন, ‘আয়েশা! ওই সময়টি এতই ভয়ঙ্কর হবে যে কেউ কারও প্রতি তাকানোর সুযোগ পর্যন্ত পাবে না।’ (বুখারি, মুসলিম)।

আরও জটিল পরিস্থিতিরি উদ্ভব হয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে। শুধু বাংলাদেশে নয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এবং উন্নত অনেক দেশেও অভিন্ন চিত্র। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর অনেক ডাক্তার রোগী দেখতে ভয় পান। নিজের কারণে না হোক, তাকে তো আরও রোগী দেখতে হয় এবং তারও পরিবার আছে। তার কাছ থেকে অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা রোগীকে ভর্তি করছে না। রোগী নিয়ে অনেক পরিবার এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছে এবং শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা ছাড়া রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে এমন দৃষ্টান্ত অনেক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। অনেক বাড়ির মালিক তাদের ভাড়াটে ডাক্তার নার্স যারা হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা করেন তাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। এ অবস্থাকেও যদি একটি হাদিসের বর্ণনার সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে পাঠকরা এটিকে হাদিস হিসেবে না হোক, ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন। এটিতে মূলত বলা হয়েছে যে, হাশরের ময়দানে একটু সুপারিশের জন্য সবাই একে অন্যের কাছে ছোটাছুটি করতে থাকবে। “হাশরের ময়দানে মানুষ আদম (আ.)-এর কাছে গিয়ে বলবে, আপনার সন্তানদের জন্য সুপারিশ করুন, আদম বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, তোমরা ইবরাহিম (আ.)-এর কাছে যাও, কারণ তিনি আল্লাহর বন্ধু। লোকজন ইবরাহিম (আ.)-এর কাছে ছুটে যাবে। ইবরাহিম বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, বরং তোমরা মুসা (আ.)-এর কাছে যাও। কারণ তিনি কালিমাতুল্লাহ, আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন। অতঃপর তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, বরং তোমরা ঈসা (আ.)-এর কাছে যাও। কারণ তিনি রুহুল্লাহ। অতঃপর মানুষ তাঁর কাছে আসবে। তিনি তখন বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, বরং তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে যাও। এরপর লোকজন তাঁর কাছে আসবে, তিনি তখন বলবেন, হ্যাঁ, আমি সুপারিশ করব।’ (কুরতুবি)।

মৃত্যু অনিবার্য, তবুও কেউ মরতে চায় না। বাঁচার জন্য কত আকুতি, সুস্থ দেহে সুদীর্ঘ জীবনের আশায় অদৃশ্য প্রভুর কাছে কত নিবেদন, নৈবেদ্য। ধনবান সর্বস্বের বিনিময়ে বাঁচতে চায়, বিশ্ব কাঁপানো প্রবল ক্ষমতাধররা জীবনের আশায় পালায়, পরাজিত বাহিনীর বহু অমিতবিক্রম বীরও নিরুদ্দেশ যাত্রা করে তাদের এক সময়ের অজেয় বাহিনী ছেড়ে। অতীতেও এমন ছিল, সাম্প্রতিক ইতিহাসেও এমন ঘটনাগুলো ঘটেছে আমাদের চোখের সামনে।

মৃত্যুর পর পরলোকে অনন্ত সুখের লোভনীয় বিবরণ প্রায় সব ধর্মেই দেওয়া হয়েছে। যারা পৃথিবীতে ভালো কাজ করবেন তারা তাদের কাজের পুরস্কার হিসেবে পাবেন অনন্ত সুখসহ অমর জীবন। পৃথিবীতে কারও কৃত অপকর্মের পারলৌকিক কঠোর শাস্তিও সমভাবে বিধৃত হয়েছে। অপকর্ম সাধনকারীরা পরকালীন শাস্তির ভয়ে যদি মরতে না চান তাহলে তাদের ভীতির একটি যৌক্তিকতা বোঝা যেতে পারে; কিন্তু যারা ধর্মে নিষ্ঠাবান, ধর্মের জন্য অনেক অবদান রাখেন, ধর্মানুসারীদের পরজগতের স্বপ্নে বিভোর রাখেন এবং নিজেরাও সে জগতে অনন্ত সুখ আশা করেন, তারাও তো বেহেশত, স্বর্গ বা বৈকুণ্ঠ অথবা হ্যাভেন বা প্যারাডাইজে যাওয়ার জন্য মৃত্যুবরণ করতে চান না। কেউ পৃথিবী ছাড়তে চান না। সবাই বলেন, ‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়’- আগে জীবন এরপর পৃথিবী। এসব কারণে বেহেশতের বা অনন্ত জীবনের ধারণায় সংশয় প্রকাশ করার মানুষের অভাব নেই বিশ্বে। নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী ও সংশয়বাদীদের কথা বাদ দিলেও বিশ্বাসীদের মধ্যেও পরকালীন জীবনের প্রতি সন্দেহ পোষণ বা অসারত্ব প্রমাণ করার চেষ্টার মানুষ ছিল, এখনো আছে। 

উপমহাদেশের বিখ্যাত উর্দু কবি মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিবের কবিতার অনুরাগী হিসেবে তার কবিতা দিয়েই শুরু করছি : “হাম কো মালুম হ্যায় জান্নাত কি হাকিকত, লেকিন দিল কো খুশ রাখনে কো গালিব, ইয়ে খেয়াল আচ্ছা হ্যায়” (বেহেশতের সত্য সম্পর্কে আমার ভালোই জানা আছে গালিব, মনকে আনন্দে রাখতে এমন ধারণা রাখা উত্তম)।

‘প্রত্যেকেই বেহেশতে বা স্বর্গে যেতে চায়, কিন্তু কেউ মরতে চায় না’, এ সত্যের উৎপত্তিকাল সম্পর্কে জানা না গেলেও যুগে যুগেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং এটি থেকে রসাস্বাদন বা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ যথেষ্ট হয়েছে। এখনো হয়, ভবিষ্যতেও হবে। হিব্রু ভাষায় স্রষ্টা হচ্ছে ‘ইয়াওয়েহ’ বা ‘ইয়াবেহ’, যা ইংরেজিতে উচ্চারিত হয় ‘জেহোভা’ বা ‘জিহোবা’। তিনি মানুষের মধ্যে চিরস্থায়ী জীবনের ধারণা ও আকাক্সক্ষা জন্ম দিয়েছেন। আদম ও হাওয়াকে বেহেশতে বসবাসের জন্য অনন্ত জীবন দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারা যদি শয়তানের প্ররোচনায় না পড়তেন তাহলে তাদের সন্তানদের জন্যও চিরস্থায়ী জীবনের নিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ও মৃত্যুর প্রবেশের ধারণা মানুষের কাছে নতুন ও অভিনব ছিল। একজন মানুষ মারা গেলে সোজা কবরে যায়, অন্য কোথাও নয়। এটি অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে খ্রিস্ট জগৎ পৌত্তলিকদের ‘মৃত্যু-পরবর্তী জীবন’ এবং ‘অমর আত্মা’র ধারণা গ্রহণ করে বলে মনে করা হয়। কিন্তু খ্রিস্টানদের কোনো বিবরণীতে ‘আত্মা’র উল্লেখ নেই, যেটি মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকবে। জেহোভা আদমকে বলেছেন, ‘তোমাকে মাটি থেকে তৈরি করা হয়েছে, মাটিতেই ফিরে আসবে তুমি।’ কিন্তু অমর আত্মার কথা প্লেটো বলেছেন ঈসার জন্মের কয়েকশ বছর আগে। নরকে ‘পাপী আত্মা’র কঠোর শাস্তি ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়েই তিনি অমর আত্মার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিবরণীতে মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে নরকে পাপীদের অনন্তকাল ধরে জ্বলতে থাকার ধারণাও নেই। অতএব এসব যুক্তির ভিত্তিতে তারা অমর আত্মার ধারণাকে ভ্রান্ত মনে করে; অতএব এর একমাত্র বিকল্প হলো, একজন মানুষ তার মৃত্যুর পর অবশ্যই বেহেশতে যাবেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, বেহেশতে যাওয়ার জন্য প্রত্যেকে প্রস্তুত, কিন্তু কেউ মরতে চায় না।

পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক হিসেবে খ্যাত, অ্যাপল কোম্পানির সিইও স্টিভ জবস পুরনো কথাটির সুর টেনে বলেছেন, ‘মানুষ বেহেশতে যেতে চাইলেও সেখানে যাওয়ার জন্য কেউ মরতে চায় না। কী অদ্ভুত! আমরা যা কিছুর মালিক, ধারক, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক সবকিছুর গন্তব্য তো শেষ পর্যন্ত মৃত্যু। কে মৃত্যু থেকে পালাতে পেরেছে? একজনও না। যা অনিবার্য, তাই হয়েছে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এবং মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের একমাত্র ও সর্বোত্তম উদ্ভাবন। মৃত্যু পুরনো অবসান করে নতুনের পথ করে দেয়। ‘ঠিক এ মুহূর্তে তুমিই নতুন, কিন্তু এখন থেকে সেই দিনটি খুব দীর্র্ঘ নয়, তুমি ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হবে এবং চলে যাবে। দুঃখিত, আমার কথাগুলো নাটকীয় মনে হচ্ছে; কিন্তু এটিই চরম সত্য। তোমার সময় একেবারেই সীমিত। অতএব, আরেকজনের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অহেতুক সময় নষ্ট করো না।’

‘এভরিবডি ওয়ান্টস টু গো টু হ্যাভেন, বাট নোবডি ওয়ান্টস টু ডাই’, এ প্রতিপাদ্যের ওপর দুটি জনপ্রিয় গ্রন্থ আছে। একটি রচনা করেছেন দুজন আমেরিকান সংগীতশিল্পী ডেভিড ক্রোডার ও মাইকেল হোগান। তারা আধ্যাত্মিক বিচার বিশ্লেষণ করেছেন বিষয়টির ওপর। একই নামে দ্বিতীয় জনপ্রিয় গ্রন্থটির রচয়িতা দুজন চিকিৎসক অ্যামি গুটম্যান, জনাথন ডি মোরিনো। তারা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দিক থেকে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেছেন। ক্রোডার ও হোগানের বক্তব্য হলো- ‘এই মুহূর্তে আমরা এখানে ও সেখানের মধ্যে কোনো এক স্থানে বিরাজ করছি। বর্তমানের জন্য আমাদের যা আছে, এখান থেকে যাওয়ার পর সেসবের পুরোপুরি সেখানে নেই। আমাদের আত্মার নিঃসঙ্গতার গান গাইছে নীল ঘাস। এখান থেকে আমরা কেউ প্রাণ নিয়ে যেতে পারছি না, কিন্তু আমরা এ উপসংহারে উপনীত হতে পারি যে, ‘মৃত্যু অনিবার্য বিপর্যয় নয়। দুঃখ যখন আমাদের পৃথিবীকে ভেঙেচুরে ফেলে এবং মৃত্যুর যাতনা ও ক্ষতি আমাদের আঁকড়ে ধরে, তখন আমরা সান্ত্বনা পেতে চাই, আমরা একটা উত্তর চাই। তাদের চিন্তাভাবনা ও তাদের সংগীত পাঠককে আশ্বস্ত করে যে, মৃত্যু জয়ী হতে পারে না, এটি সূচনা মাত্র। অপরদিকে আমেরিকান দুই চিকিৎসকের লেখা গ্রন্থে আমেরিকান নাগরিকদের পরজগতের উদ্দেশে যাত্রার আগে তাদের কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় সেসব প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে।

খ্যাতিমান আমেরিকান সংগীতশিল্পী লোরেটা লীনের গান আছে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে- ‘প্রত্যেকেই বেহেশতে যেতে চায় কিন্তু কেউ মরতে চায় না’, কবার আইজ্যাক নামে এক লোক ঈশ্বরের সঙ্গে দিন-রাত হাঁটছিল কিন্তু সে মরতে চাইত না। সে কেঁদে বলল, ‘প্রভু, দয়া করে আমাকে বাঁচতে দাও, আমি জানি, আমার মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে।’ হাসলেন ঈশ্বর, আইজ্যাকের মাথায় হাত রেখে তাকে আরও পনেরো বছরের আয়ু দিলেন। আমি সেই দিনের আকাক্সক্ষা করি যখন আমার নতুন জন্ম হবে, এখনো আমি এখানে এ পৃথিবীতেই বাঁচতে চাই। যিশু যখন পৃথিবীতে জীবিত ছিলেন তিনি তাঁর পিতার পরিকল্পনা জানতেন। তিনি জানতেন যে, তিনি তাঁকে তাঁর জীবন দেবেন মানুষের আত্মাকে রক্ষা করতে। যিশুর সঙ্গে জুডাস যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁর পিতা তাঁকে কাঁদতে শোনে। যিশুর মৃত্যু পর্যন্ত জুডাস সাহসী ছিল কিন্তু সে মরতে চায়নি। অনেকে মানুষের মাঝেই স্বর্গ ও নরককে দেখতে পান। বাঙালি কবি শেখ ফজলুল করীম বলেছেন; ‘কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।’

জন মিল্টনও তাঁর ‘প্যারাডাইজ লস্ট’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘মন তার নিজের স্থানে আছে, এই মন নরককে স্বর্গে পরিণত করে অথবা একটি স্বর্গকে পরিণত করতে পারে নরকে।’

পরজন্ম বা পরকালীন জীবন সম্পর্কিত ধর্মীয় ব্যাখ্যা যদি কেউ মানতে নাও চান, তারা অন্তত একথার মধ্যে সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন যে, মৃত্যুকে ঘিরে যে ভীতি ও দ্বিধা তা থেকে মুক্তি লাভের উপায় আছে। তা হলো, দেহের মৃত্যু হলে আমরা বেহেশত বা স্বর্গ নামে একটি স্থানে যাই, যেখানে আমরা সবসময় সুখী। এ ভাবনার মধ্যে অনিশ্চয়তা, ভীতি ও দ্বিধা থেকে বেরিয়ে এসে সততার সঙ্গে সত্যের মুখোমুখি হওয়া যায়। কেউ জানে না দেহের মৃত্যুর পর কী ঘটে।

তবে মৃত্যুর প্রস্তুতি সম্পর্কে হজরত আলী (রা.) যে পরামর্শ দিয়েছেন তা হলো, ‘মৃত্যুকে মনের মধ্যে এমনভাবে রাখতে হবে যেন আজকের দিনটিই আমাদের জীবনের শেষ দিন। আবার একই সময়ে আমাদের এমনভাবে বাঁচা উচিত যেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সামনে আরও হাজার বছর পড়ে আছে।’ একজন সুফি কবি শেখ ইবনে আল-হাবীবও (১২৯৬-১৩৯১) প্রায় একইভাবে বলেছেন; ‘মৃত্যু আসবে তা তো অনিবার্য, কিন্তু তুমি তোমার আশা ছেড়ো না হৃদয় যদি তোমার সঙ্গে রূঢ় আচরণও করে তোমার মাঝে মৃত্যুর প্রতিফলন রেখ তাহলে তুমি সজাগ সচেতন থাকবে, এবং তুমি ভালো কাজের দিকে ফিরবে, কারণ জীবন তো তোমাকে ছেড়েই যাবে।’

                লেখক : সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা