শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিদায় ম্যারাডোনা

সর্বকালের সেরা ফুটবলারের প্রতি শ্রদ্ধা

ফুটবলের জাদুকর সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। ফুটবলের এ কিংবদন্তি আর্জেন্টিনার ছোট শহর তিগ্রেতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কিছুদিন আগে। সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে পাঠানো হয় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের এক হাসপাতালে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে জমে থাকা রক্ত অপসারণ করা হয়। এর আট দিন পর হাসপাতাল ছেড়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে এবং আকস্মিকভাবে কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে যান জীবনের পরপারে। ফুটবলের সর্বকালের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকার একজন দিয়াগো ম্যারাডোনার জন্ম ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার লানুস শহরে। সেখানেই মারা গেলেন তিনি। ম্যারাডোনা ১৯৭৭ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় ’৭৮ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাননি। ড্যানিয়েল পাসারেলার নেতৃত্বে সেবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ’৭৮ সালে সুযোগ না পেলেও ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে ১৯৮২, ’৮৬, ’৯০ ও ’৯৪ সালে চারটি বিশ্বকাপ খেলেন। ’৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ২২ বছর বয়সেই নিজের দিকে সবার দৃষ্টি ফেরাতে সক্ষম হন। তবে গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ’৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে লাভ করেন তিনি অমরত্বের তকমা। তাঁর ফুটবল জাদুতে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে। শুধু বিশ্বচ্যাম্পিয়নই নয়, ৫টি গোল করেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ২টি গোল তাঁকে ইতিহাসের সোনালি পাতায় আলাদা স্থান দিয়েছে। যার ১টি গোল ছিল বিতর্কিত। ’৮০ সালের পর থেকে ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলে মূল্যায়ন করা হয়। তাঁর আগে এ রাজকীয় স্থানে ছিলেন ব্রাজিলের কালো মানিক পেলে। বাংলাদেশেও ম্যারাডোনার সমর্থকের সংখ্যা কয়েক কোটির ঘরে। ফুটবলের কিংবদন্তিকে আমাদের শেষ অভিবাদন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর